SAARC
পূর্ণনাম: South Asian Association for Regional Co-operation | প্রতিষ্ঠা: ১৯৮৫ | সদর দপ্তর: কাঠমুন্ডু (নেপাল) | সদস্য রাষ্ট্র: ৮টি | উদ্যোক্তা: বাংলাদেশ
সার্ক দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা। এর সদস্য দেশ ৮টি: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বিপ ও আফগানিস্তান। সর্বশেষ সদস্য দেশ আফগানিস্তান (২০০৭)। এছাড়া মোট ৯টি দেশ: চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মিয়ানমার, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, মারিশাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সার্কের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র। সার্কের লোগো ডিজাইনার হলেন শৈলেন্দ্র কুমার মহার্জন (নেপাল)।

সার্ক অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং উন্নয়নের যৌথ আত্মনির্ভরশীলতার ওপর জোর দেয়। এ সংস্থায় দ্বিপাক্ষীয় সমস্যা আলোচনা হয় না এবং প্রস্তাব পাশ করতে ১০০ ভাগ হ্যাঁ ভোটের প্রয়োজন হয়।

চুক্তি
SAPTA বা South Asian Preferential Trade Agreement: এটি আঞ্চলিক বাণিজ্য অগ্রাধিকারমূলক চুক্তি। সার্কের ৬ষ্ঠ সম্মেলনে (শ্রীলংকা, ১৯৯১) এ চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে স্বাক্ষরিত হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে উন্নয়নকল্পে এক অন্যকে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা প্রদান করা ছিল চুক্তিটির লক্ষ্য।
SAFTA বা South Asian Free Trade Agreement: আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। সার্কের ১২তম সম্মেলনে (ইসলামাবাদ, ২০০৬) এটি কার্যকর করা হয়। এটি কার্যকরের ফলে SAPTA বাতিল হয়ে যায়। বাণিজ্য উদারীকরণ ও মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠন ছিল চুক্তিটির লক্ষ্য।
কেন্দ্র
বর্তমানে সার্কের মোট ৫টি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। ২০১৫ সালে সার্কের ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমান কেন্দ্রগুলো হল-
কেন্দ্র | অবস্থান |
---|---|
কৃষি বিষয়ক কেন্দ্র | ঢাকা, বাংলাদেশ |
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র | গুজরাট, ভারত |
সার্ক জ্বালানি ও পরিবেশ কেন্দ্র | ইসলামাবাদ, পাকিস্তান |
যক্ষ্মা ও এইডস কেন্দ্র তথ্য কেন্দ্র | কাঠমুন্ডু, নেপাল |
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র | কলম্বো, শ্রীলংকা |
আরও তথ্য –
- ২০১৬ সালে মহাস্থানগড় সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
- সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের নয়াদিল্লীতে অবস্থিত। এর প্রস্তাবক ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং।
- বাংলাদেশ সার্কের অন্যতম উদ্যোক্তা। সার্কের প্রথম মহাসচিব – আবুল আহসান (বাংলাদেশ)।
ASEAN
পূর্ণনাম: Association of South East Asian Nations | প্রতিষ্ঠা: ১৯৬৭ | সদর দপ্তর: জাকার্তা (ইন্দোনেশিয়া) | সদস্য রাষ্ট্র: ১০টি | ভাষা: ১১টি | সহযোগী ফোরাম: ARF and ASEAN +3 | নীতিবাক্য: একটি দর্শন, এক পরিচয়, এক সম্প্রদায়

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা বা আসিয়ান একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা। ব্যাংককের থাই পররাষ্ট্র বিভাগে আসিয়ান ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যা ব্যাংকক ঘোষণা নামেও পরিচিত। মূলত কমিউনিজমের ভয় থেকে নিরাপদ থাকাই ছিল এই জোট গঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মোট ১০টি দেশ: ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার ও ভিয়েতনাম আসিয়ানের সদস্য। এছাড়া পূর্ব তিমূর ও পাপুয়া নিউগিনি আসিয়ানের পরিদর্শক দেশ।

উল্লেখযোগ্য চুক্তি
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত-অঞ্চল চুক্তি: স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৫ সালে।
Regional Comprehensive Economic Partnership (RCEP): স্বাক্ষরিত হয় ১৫ নভেম্বর ২০২০। আসিয়ান জোটের ১০টি দেশ ছাড়াও এই চুক্তিতে সই করছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোট। এ চুক্তির ফলে পরবর্তী ২০ বছরের মধ্যে জোট এলাকায় মধ্যে একে একে অধিকাংশ আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক উঠে যাবে।
ARF
পূর্ণনাম: Asian Regional Forum | প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৪ | সদর দপ্তর: ব্যাংকক (থাইল্যান্ড) | সদস্য রাষ্ট্র: ২৭টি
ইন্দো-প্যাসিফিকের অঞ্চলের সুরক্ষা সংলাপের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এতে সদস্যরা বর্তমান সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা এবং অঞ্চলে শান্তি ও সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য সহযোগিতামূলক পদক্ষেপগুলির বিকাশ করতে পারে।
CIRDAP
পূর্ণনাম: Centre on Integrated Rural Development for Asia & Pacific | প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৯ | সদর দপ্তর: ঢাকা (চামেলি হাউস) | সদস্য দেশ: ১৫টি রাষ্ট্র + ১টি সংস্থা
এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পল্লী উন্নয়ন সংস্থা। এর উদ্যোক্তা জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা (FAO)। এর সদস্য মোট ১৫টি দেশ ও একটি সংস্থা। দেশ/সংস্থাগুলো হল: আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, লাওস, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, ফিজি, ইরান এবং FAO।
IORA
পূর্ণনাম: The Indian Ocean Rim Association | প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৭ | সদর দপ্তর: ইবিনি (মারিশাস) | সদস্য দেশ: ২২টি রাষ্ট্র

এটি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক জোট। বাংলাদেশ সহ মোট ২২টি দেশ এর সদস্য। তবে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান হওয়া স্বত্ত্বেও পাকিস্তান এ জোটের সদস্য নয়।

SEACO
পূর্ণনাম: South East Asian Co-operation Foundation | প্রতিষ্ঠা: ২০১৯ | সদর দপ্তর: ইবিনি (মারিশাস) | উদ্যোক্তা: বাংলাদেশ |সদস্য রাষ্ট্র: ০৫টি দেশ
এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট। এর সদস্য দেশ ০৫টি: বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ ও ব্রুনাই।
GCC
পূর্ণরূপ: Gulf Cooperation Council | প্রতিষ্ঠা: ১৯৮১ | সদর দপ্তর: রিয়াদ (সৌদি আরব) | সদস্য রাষ্ট্র: ০৬টি

এটি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগীতা সংস্থা। এর সদস্য দেশ ০৬টি: কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব।
আরব লিগ
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৫ | সদস্য: ২২টি দেশ | সদর দপ্তর: কায়রো (মিশর)
আরব দেশসমূহের আঞ্চলিক সংস্থা। এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের আরব জাতিভুক্ত দেশগুলো নিয়ে এ সংস্থা গঠিত। ১৯৪৪ সালের আলেকজান্দ্রিয়া প্রোটোকলের উপরে ভিত্তি করে ১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ আরব লীগ গঠিত হয়। সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পারস্পরিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার উদ্দেশ্য নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিল। ১৯৭৯ সালে মিশরকে আরব লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, কিন্তু ১৯৯০ সালে পুনরায় ফিরে আসে। এসময় আরব লীগের সদর দপ্তর ছিল তিউনিশিয়ার তিউনিশে। আরব লিগের সংসদের নাম আলি আল ডাবাসি।
আরব লিগভূক্ত দেশগুলো- (GCC ভুক্ত সকল দেশ + অন্যান্য)
কুয়েত,
লেবানন,
ফিলিস্তিন,
জর্দান,
বাহরাইন,
সংযুক্ত আরব আমিরাত,
লিবিয়া,
ওমান,
সৌদি আরব,
সিরিয়া,
তিউনিসিয়া,
ইরাক,
আলজেরিয়া,
মরোক্কো,
সুদান,
জিবুতি,
মিশর,
ইয়েমেন,
মৌরিতানিয়া,
সোমালিয়া
AU
পূর্ণনাম: African Union | প্রতিষ্ঠা: ১৯৬৩ | সদর দপ্তর: আদ্দিস আবাবা (ইথিওপিয়া) | সদস্য রাষ্ট্র: ৫৫টি | নীতিবাক্য: An United and Strong Africa
আফ্রিকার একটি আঞ্চলিক সংস্থা। মোট ৫৫টি আফ্রিকান দেশ এর সদস্য। এর সর্বশেষ সদস্য দক্ষিণ সুদান। মরক্কো ১৯৮৪ সালে ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে গেলেও ২০১৭ সালে পুনরায় যোগ দেয়। এ সংস্থার পূর্ব নাম ছিল Organization of African Unity. সংস্থাটি ২০০২ সালে সংস্থাটি African Union নামে যাত্রা শুরু করে। এর আইনসভার নাম প্যান আফ্রিকান পার্লামেন্ট।

OAS
পূর্ণনাম: Organization for American States | প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৮ | সদর দপ্তর: ওয়াশিংটন ডিসি(যুক্তরাষ্ট্র) | সদস্য রাষ্ট্র: ৩৫টি | ভাষা: ৪টি (স্প্যানিস, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফ্রেঞ্চ)

এটি আমেরিকার (উত্তর ও দক্ষিণ) একটি আঞ্চলিক সংস্থা। এর নীতিবাক্য হল: Democracy for Peace, Security and Development. সংস্থাটি ২১ টি দেশের সমন্নয়ে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের প্রায় সকল দেশই এ সংস্থার সদস্য। উল্লেখ্য কিউবা ১৯৬২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত সংস্থার বাইরে ছিল।
সদস্য দেশগুলো হলো: Argentina, Bolivia, Brazil, Chile, Colombia, Costa Rica, Cuba, Dominican Republic, Ecuador, El Salvador, Guatemala, Haiti, Honduras, Mexico, Nicaragua, Panama, Paraguay, Peru, United States of America, Uruguay, Venezuela (Bolivarian Republic of), Barbados, Trinidad and Tobago, Jamaica, Grenada, Suriname, Dominica (Commonwealth of), Saint Lucia, Antigua and Barbuda, Saint Vincent and the Grenadines, The Bahamas (Commonwealth of), St. Kitts & Nevis, Canada, Belize and Guyana.
