মেগাস্থিনিস
প্রাচীন গ্রীসের একজন পর্যটক। তিনি একজন ভূগোলবিদ ছিলেন। সিরিয়ার রাজা সেলিয়াকাস ১ এর রাজকীয় দূত হিসেবে তিনি রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের (স্যান্ড্রাকোটাস) রাজদরবারে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি Pentapotamia জেলা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। তার রচিত গ্রন্থ ‘ইন্ডিকা’ যা উপমহাদেশের একটি প্রামাণ্য দলিল।
ফা-হিয়েন
বাংলায় ভ্রমণকারী প্রথম চীনা পর্যটক। তিনি একজন বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী ছিলেন। সম্ভবত তিনি রাজা দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে ভারতবর্ষ ভ্রমণ করেছিলেন। তার রচিত গ্রন্থের নাম ‘ফো-কুয়ো-কিং’।
হিউয়েন সাং
তিনি একজন চীনা পরিব্রাজক। হর্ষবর্ধনের শাসনামলে তিনি ভারতবর্ষ ভ্রমণ করেন। তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন।
ইবনে বতুতা
তিনি মরক্কোর অধিবাসী ছিলেন। পুরো নাম শেখ আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ। ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে মাত্র একুশ বছর বয়সে তিনি বিশ্ব সফরে বের হন। ১৩৩৪ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে পৌঁছেন। সেখানে সুলতান মুহাম্মদ বিন তুগলক তাঁকে দিল্লির কাজী নিযুক্ত করেন। প্রায় আট বছর এ পদে থাকার পর সুলতান ১৩৪২ সালে তাঁকে চীনে রাষ্ট্রদূত করে পাঠান। পথে জাহাজডুবির ফলে তাঁর আর চীনে যাওয়া হয় নি। তিনি মালয় দ্বীপপুঞ্জে যান এবং সেখানে এক বছর বিচারক পদে কাজ করেন। এরপর তিনি সিংহল ও দক্ষিণ ভারত ভ্রমণের পর বাংলা অভিমুখে রওনা করেন। বিখ্যাত সুফিসাধক শেখ জালালউদ্দিনের (হযরত শাহজালাল মুজার্রদ-ই-ইয়েমেনী) দর্শন লাভের উদ্দেশ্যে তিনি ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় সফর করেন। এসময় বাংলার শাসক ছিলেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ। তিনি প্রথমে চট্টগ্রামে এসে পৌছান। তার ভ্রমণকাহিনী ১৩৫৫ খ্রিস্টাব্দে গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ হয়। ভ্রমণ কাহিনী সম্বলিত গ্রন্থটির পুরো নাম তুহফাতুন-নুজ্জার ফি গারাইবিল আমসার ওয়া আজাইবিল আস্ফার বা কিতাবুল রেহালা (সফরনাম)।