চোখ সম্পর্কিত
- অক্ষির সমীপে = সমক্ষ
- অক্ষির অভিমুখে = প্রত্যক্ষ
- অক্ষির অগোচরে = পরক্ষ
- চোখের কোণ = অপাঙ্গ
- অক্ষি পত্রের লোম (চোখের লোম) = অক্ষিপক্ষ্ম
- চক্ষুর সামনে সংঘটিত = চাক্ষুষ
- চোখে দেখা যায় এমন = চক্ষুগোচর
- চোখের নিমেষ না ফেলিয়া = অনিমেষ
- পুণ্ডরীক্ষের (পদ্ম) ন্যায় অক্ষি যার = পুণ্ডরীকাক্ষ
বছর পূর্তি
- পঁচিশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব = রজত জয়ন্তী
- পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব = সুবর্ণ জয়ন্তী
- ষাট বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব = হীরক জয়ন্তী
- একশত পঞ্চাশ বছর = সার্ধশতবর্ষ
- প্রতি সপ্তাহে তিন দিন = বারত্রয়িক
ইচ্ছা সম্পর্কিত
- জানবার ইচ্ছা = জিঞ্জাসা
- সৃষ্টি করার ইচ্ছা = সিসৃক্ষা
- দেখবার ইচ্ছা = দিদৃক্ষা
- সেবা করার ইচ্ছা = শুশ্রূষা
- লাভ করার ইচ্ছা = লিপ্সা
- পাওয়ার ইচ্ছা = ঈপ্সা
- পান করার ইচ্ছা = পিপাসা
- নিন্দা করার ইচ্ছা = জুগুপ্সা
- হনন করবার ইচ্ছা = জিঘাংসা
- জয় করার ইচ্ছা = জিগীষা
- বিজয় লাভের ইচ্ছা=বিজিগীষা
- বেঁচে থাকার ইচ্ছা = জিজীবিষা
- গমন করার ইচ্ছা = জিগমিষা
- ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা = তিতীর্ষা
- করার ইচ্ছা = চিকীর্ষা
- ক্ষমা করার ইচ্ছা = চিক্ষমিষা/তিতিক্ষা
- হিত করার ইচ্ছা = হিতৈষা
- মুক্তি পাওয়ার/পেতে ইচ্ছা = মুমুক্ষা
- প্রবেশ করার ইচ্ছা = বিবক্ষা
- ভোজন করার ইচ্ছা = বুভুক্ষা
- রমণ বা সঙ্গমের ইচ্ছা = রিরংসা
- রোদন করার ইচ্ছা = রুরুদিষা
- বমন করিবার ইচ্ছা = বিবমিষা
- দান করার ইচ্ছা = দিৎসা
- বাস করার ইচ্ছা = বিবৎসা
- প্রতিবিধান করার ইচ্ছা = প্রতিবিধিৎসা
- অন্বেষণ করার ইচ্ছা = অন্বেষা
- খাওয়ার ইচ্ছা = ক্ষুধা
ডাক
- সিংহের নাদ/ডাক = হুঙ্কার
- বাঘের ডাক = গর্জন।
- রাজহাসের কর্কশ ডাক = ক্রেঙ্কার
- ময়ূরের ডাক = কেকা
- হাতির ডাক = বৃংহণ / বৃংহতি
- কুকুরের ডাক = বুক্কন
- অশ্বের ডাক = হ্রেষা
- গাধার ডাক = রাসভ
- মোরগের ডাক = শকুনিবাদ
- পেঁচা বা উলূকের ডাক = ঘূৎকার
- বিহঙ্গের ডাক/ধ্বনি=কূজন/কাকলি
ধ্বনি/শব্দ
- ধনুকের ধ্বনি = টঙ্কার
- ভ্রমরের শব্দ = গুঞ্জন
- সমুদ্রের ঢেউ = ঊর্মি
- সুমদ্রের ঢেউয়ের শব্দ = কল্লোল
- অসির শব্দ = ঝঞ্জনা
- নূপুরের ধ্বনি = নিক্বণ
- অলঙ্কারের ধ্বনি = শিঞ্জন
- গম্ভীর ধ্বনি=মন্দ্র
- আনন্দজনক ধ্বনি = নন্দিঘোষ
- মেঘের ধ্বনি = জীমূতমন্ত্র
- অতি উচ্চ ধ্বনি = মহানাদ
- তোপের ধ্বনি = গুড়ুম
কঠিন
- যাহা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না = দুলঙ্ঘ্য
- যাহা সহজে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না = দুস্তর
- যা শুনলে দুঃখ দূর হয় = দুঃশ্রব
প্রাণী সম্পর্কিত
- বাঘের চর্ম = কৃত্তি
- হরিণের চর্ম = অজিন
- হাতির শাবক = করভ
- সাপের খোলস = নির্মোক, কঞ্চুক
- ভূজের সাহায্যে চলে যে = ভুজগ, ভুজঙ্গ (সাপ); পা দিয়ে চলে না যে = পন্নগ (সাপ); উরস দিয়ে হাঁটে যে = উরগ (সাপ)।
- যা বুকে হাঁটে = সরীসৃপ।
- লাফিয়ে চলে যে = প্লবগ (ব্যাঙ, বানর)
- ত্বরিত গমন করতে পারে যে = তুরগ (ঘোড়া)
- বিহায়সে (আকাশে) বিচরণ করে যে = বিহগ, বিহঙ্গ
- যে আকাশে চরে = খেচর।
- পরকে পালন করে যে = পরভৃৎ (কাক)
- পরের দ্বারা প্রতিপালিত যে = পরভৃত (কোকিল)
- যার দুটি মাত্র দাঁত = দ্বিরদ (হাতি)
- বাতাসে চরে যে = কপোত
- যে বন হিংস্র জীবজন্তুতে পরিপূর্ণ = শ্বাপদসংকুল
- প্রাণিদেহ থেকে লব্ধ = প্রাণিজ
- যে গাভী প্রসবও করে না, দুধও দেয় না = গোবশা
- মধু সংগ্রহকারী পতঙ্গ বিশেষ = মৌমাছি
- গবাদি পশুর চর্বিত চর্বণ = জাবর
বস্তু/স্থান সম্পর্কিত
- যার চারদিকে জল = দ্বীপ
- যার চারদিকে স্থল = হ্রদ
- যে গমন করে না = নগ (পাহাড়)
- যে জমিতে ফসল জন্মায় না = ঊষর
- উচ্চস্থানে অবস্থিত ক্ষুদ্র কুটির = টঙ্গি
- যেখানে মৃত জীবজন্তু ফেলা হয় = ভাগাড় / উপশল্য
- ঐতিহাসিককালেরও আগের = প্রাগৈতিহাসিক
- জলবহুল স্থান = অনুপ,জলা
- তৃণাচ্ছাদিত ভূমি = শাদ্বল
তুল্য
- আমার তুল্য = সাদৃশ
- ইহার তুল্য = ইদৃশ
- ঋষির তুল্য = ঋষিকল্প
- দেবতার তুল্য = দেবোপম
- তোমার মত = ত্বাদৃশ
- তার মত = তাদৃশ
যোগ্য
- রন্ধনের যোগ্য=পাচ্য
- খাবার যোগ্য = খাদ্য
- জানিবার যোগ্য=জ্ঞাতব্য
- প্রশংসার যোগ্য=প্রশংসার্হ
- ঘ্রাণের যোগ্য=ঘ্রেয়
- যা ক্রয় করার যোগ্য = ক্রেয়
- যা বিক্রয় করার যোগ্য = বিক্রেয়
- যা চুষে খাবার যোগ্য = চোষ্য
- যা চিবিয়ে খাবার যোগ্য = চর্ব্য
- যা চেটে খাবার যোগ্য = লেহ্য
- যা পান করার যোগ্য = পেয়
নারী/স্ত্রী সম্পর্কিত
- যে নারী আনন্দ দান করে = বিনোদিনী
- যে নারী কলহপ্রিয় = খণ্ডানী
- যে নারী চিরকাল পিতৃগৃহবাসিনী = চিরণ্টী
- যে নারীর সহবাসে মৃত্যু হয় = বিষকন্যকা
- যে নারী অঘটন ঘটাতে পারদর্শী = অঘটনঘটনপটীয়সী
- যে নারী সূর্যকে দেখে না = অসূর্যস্পশ্যা
- নারীর কটিভূষণ = রশনা
- যে নারী একবার সন্তান প্রসব করেছে = কাকবন্ধ্যা
- যে নারী প্রিয় বাক্য বলে = প্রিয়ংবদা
- যে নারী সুন্দরী = রমা
- যে নারী সাগরে বিচরণ করে = সাগরিকা
- যে নারী বীর = বীরাঙ্গনা
- যে নারীর দশ বছর বয়স = কন্যকা।
- যে নারীর স্বামী ও পুত্র জীবিত = বীরা, পুরন্ধ্রী
- যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত = অবীরা
- যে নারীর বিয়ে হয়েছে = ঊঢ়া
- যে নারীর বিয়ে হয় না = অনূঢ়া
- যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে = প্রেষিতভর্তৃকা
- যে নারীর সতীন নেই = নিঃসপ্ত
- যে নারীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে = অধিবিন্না
- যে নারীর সন্তান হয় না = বন্ধ্যা
- যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা
- যে নারীর হাসি সুন্দর = সুস্মিতা
- যে রমণীর হাসি সুন্দর = সুহাসিনী
- যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত = শুচিস্মিতা
- কুমারীর পুত্র = কানীন
- নারীর লীলাময়ী নৃত্য = লাস্য
- অবিবাহিতা জ্যেষ্ঠা থাকার পরও যে কনিষ্ঠার বিয়ে হয় = অগ্রেদিধিষু
- আজীবন সধবা যে নারী = চিরায়ুষ্মতী
- গুরুর পত্নী = গুর্বী
দমন
- দমন করা যায় না যাকে = অদম্য
- দমন করা কষ্টকর যাকে = দুর্দমনীয়
- যা অতিক্রম করা যায় না = অনতিক্রম্য
- যা প্রতিরোধ করা যায় না = অপ্রতিরোধ্য
গমন
- যা গতিশীল = জঙ্গম
- ইতস্তত গমনশীল বা সঞ্চারণশীল = বিসর্পী
- যে সর্বত্র গমন করে = সর্বগ
- থেমে থেমে চলার যে ভঙ্গি = ঠমক
- প্রস্থান করতে উদ্যত = চলিষ্ণু
- পশ্চাতে গমন করে যে = অনুগামী
- নিশাকালে চরে বেড়ায় যে = নিশাচর
ঈষৎ/কম
- ঈষৎ নীলাভবিশিষ্ট = আনীল
- ঈষৎ উষ্ণ = কবোষ্ণ
- ঈষৎ পাংশু বর্ণ = কয়রা
- ঈষৎ আমিষ গন্ধ যার = আঁষটে
- যা অতি দীর্ঘ নয় = নাতিদীর্ঘ
- যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয় = নাতিশীতোষ্ণ
ক্ষুদ্র
- ক্ষুদ্র হাঁস = পাতিহাঁস
- ক্ষুদ্র শিয়াল = খেঁকশিয়াল
- ক্ষুদ্র লেবু = পাতিলেবু
- ক্ষুদ্র লতা = লতিকা
- ক্ষুদ্র রাজা = রাজড়া
- ক্ষুদ্র বাগান = বাগিচা
- ক্ষুদ্র নদী = সারণি
- ক্ষুদ্রকায় ঘোড়া = টাট্টু ঘোড়া
পুরুষ সম্পর্কিত
- যে দ্বার পরিগ্রহ করে নি = অকৃতদার
- যে দ্বার পরিগ্রহ করেছে = কৃতদার
- যে প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকতে দ্বিতীয় দার পরিগ্রহণ করেছে = অধিবেত্তা
- পত্নী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও পুনর্বিবাহ = অধিবেদন
- স্ত্রীর বশীভূত = স্ত্রৈণ
- যে পুরুষের স্ত্রী বিদেশে = প্রোষিতপত্নীক বা প্রোষিতভার্য
- যার দাঁড়ি গোফ উঠে নি = অজাতশ্মশ্রু
- পুরুষের কর্ণভূষণ = বীরবৌলি
- বড় ভাই থাকতে ছোট ভাইয়ের বিয়ে = পরিবেদন
দিন-রাত্রি, সময়
- দিনের পূর্ব ভাগ = পূর্বাহ্ণ
- দিনের মধ্য ভাগ = মধ্যাহ্ন
- দিনের অপর ভাগ = অপরাহ্ণ
- দিনের সায় (অবসান) ভাগ = সায়াহ্ন
- রাত্রির মধ্য ভাগ = মহানিশা
- রাত্রির তিন ভাগ একত্রে = ত্রিযামা
- অন্ধকার রাত্রি = তামসী
- নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল) = নিদাঘ
- যে দিন তিন তিথির মিলন ঘটে = ত্র্যহস্পর্শ
- ঘোর অন্ধকার রাত্রি = তামসী,তমিস্রা
মেঘ/সূর্য/আবহাওয়া প্রভৃতি
- যা জল দেয় = জলদ (মেঘ)
- অভ্র (মেঘ) স্পর্শ করে যা = অভ্রংলিহ
- যে মেঘে প্রচুর বৃষ্টি হয় = সংবর্ত
- সূর্যোদয় থেকে পরবর্তী সূর্যোদয় পর্যন্ত = সাবান
- সূর্য থেকে কোন গ্রহের সর্বদূরবর্তী বিন্দু = অপসূর
- অন্তরে যা ঈক্ষণ যোগ্য = অন্তরিক্ষ (আকাশ)
- আকাশ ও পৃথিবী = ক্রন্দসী।
- আকাশ ও পৃথিবীর অন্তরাল = রোদসী
- ঋতুর সম্বন্ধে = আর্তব
- পূর্ণিমার চাঁদ = রাকা
- প্রভাতের নবোদিত সূর্য = বালার্ক,বালসূর্য
যুদ্ধ সম্পর্কিত
- রাত্রিকালীন যুদ্ধ = সৌপ্তিক
- এখনও শত্রু জন্মায় নাই যার = অজাতশত্রু
- শত্রুকে পীড়া দেয় যে = পরন্তপ
- শত্রুকে (অরিকে) দমন করে যে = অরিন্দম
- শত্রুকে জয় করেন যিনি = পরঞ্জয় বা শত্রুজিৎ
- শত্রুকে জয় করেন যিনি = শত্রুঘ্ন
- যুদ্ধ থেকে যে বীর পালায় না = সংশপ্তক
- যুদ্ধে স্থির থাকেন যিনি = যুধিষ্ঠির
- হস্তি, অশ্ব, রথ, পদাতিকে সমাহার = চতুরঙ্গ
- দুরথীর যুদ্ধ = দ্বৈরথ
হাত
- হাতের প্রথম আঙ্গুল = অঙ্গুষ্ঠ
- হাতের দ্বিতীয় আঙ্গুল = তর্জনী
- হাতের তৃতীয় আঙ্গুল = মধ্যমা
- হাতের চতুর্থ আঙ্গুল =অনামিকা
- হাতের পঞ্চম আঙ্গুল = কনিষ্ঠা
- হাতের কব্জি = মণিবদ্ধ
- হাতের কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত অংশ = প্রকোষ্ঠ
- হাতের কব্জি থেকে আঙুলের ডগা পর্যন্ত = পাণি
- হাতের কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত পরিমাণ = রত্নি
ব্যক্তি/মানুষ/নিজ সম্পর্কিত
- যে ব্যক্তি এক ঘর হতে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায় = মাধুকর
- খেয়া পার করে যে = পাটনী
- যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই = অবিসংবাদী
- অশ্বের চালক = সাদী
- যিনি অতিশয় হিসাবি = পাটোয়ারি
- যিনি বক্তৃতা দানে পটু = বাগ্মী
- যে পরের গুণেও দোষ ধরে = অসূয়ক
- যে অগ্র-পশ্চাৎ চিন্তা না করে কাজ করে = অবিমৃশ্যকারী
- যে সুপথ থেকে কুপথে যায় = উন্মার্গগামী
- যে অপরের লেখা চুরি করে নিজনামে চালায় = কুম্ভীলক
- যে অন্য দিকে মন দেয় না = অনন্যমনা
- যে বিদ্যা লাভ করেছে = কৃতবিদ্য
- যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়িয়ে ক্লান্ত = হাতুড়ে
- অবজ্ঞায় নাক উঁচু করে যে = উন্নাসিক
- কোন বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে= বীতশ্রদ্ধ
- যার স্পৃহা দূর হয়েছে = বীতস্পৃহ
- যার পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ আছে = জাতিস্মর
- সকলের জন্য প্রযোজ্য = সর্বজনীন
- সকলের জন্য অনুষ্ঠিত = সার্বজনীন
- নিজেকে বড় ভাবে যে = হামবড়া
- নিজেকে যে নিজেই সৃষ্টি করেছে = সয়ম্ভূ
- যার অন্যদিকে মন নাই = অনন্যমনা
- যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি
- যার দুবার জন্ম হয় = দ্বিজ
- যার বংশ পরিচয় কেউই জানে না = অজ্ঞাতকুলশীল
- বেশি কথা বলে যে = বাচাল।
- বীরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ = বীরশ্রেষ্ঠ।
- ভয় নেই যার = নির্ভীক।
- যে সংবাদ বহন করে = সাংবাদিক।
- যে অন্যের অধীন নয় = স্বাধীন।
- যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে = কৃতজ্ঞ।
- যে উপকারীর অপকার করে = কৃতঘ্ন।
- যে বিদেশে থাকে = প্রবাসী।
- যে পরিণাম বোঝে না = অপরিণামদর্শী।
- যার ঈহা (চেষ্টা) নেই = নিরীহ
- কম কথা বলে যে = মিতভাষী
- যার কোনো কিছুতে ভয় নেই = অকুতোভয়
- যার অন্য উপায় নেই = অনন্যোপায়।
- যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি
- যিনি অধিক ব্যয় করেন না = মিতব্যয়ী
- শুভক্ষণে জন্ম যার = ক্ষণজন্মা
- যার কোন তিথি নেই = অতিথি
জ্ঞান/শিক্ষা সম্পর্কিত
- অভ্রন্ত জ্ঞান = প্রমা
- উপদেশ ছাড়া লব্ধ প্রথম জ্ঞান = উপজ্ঞা
- ভাষা সম্পর্কে যিনি বিশেষ জ্ঞান রাখেন = ভাষাবিদ।
- ব্যাকরণ জানেন যিনি = বৈয়াকরণ।
- যার দুহাত সমান চলে = সব্যসাচী
- যিনি শিক্ষা দান করেন = শিক্ষক।
- যিনি বিশেষ জ্ঞান রাখেন = বিশেষজ্ঞ।
- স্মৃতিশাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি = শাস্ত্রজ্ঞ
- স্মৃতি শাস্ত্র রচনা করেন যিনি = শাস্ত্রকার
- ন্যায় শাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি = নৈয়ায়িক
- যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন = স্মার্ত
- গ্রন্থাদির অধ্যায় = স্কন্দ
- জানায় যে = জ্ঞাপক
- জানা উচিত = জ্ঞেয়
- শিক্ষা করছে যে = শিক্ষানবিশ
- জ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যমান = সজ্ঞান
- ইতিহাস জানেন যিনি = ইতিহাসবেত্তা
পূর্ব
- যা পূর্বে দেখা যায় নি = অদৃষ্টপূর্ব
- যা পূর্বে ছিল এখন নেই = ভূতপূর্ব
- যা পূর্বে কখনো হয় নি = অভূতপূর্ব
- যা পূর্বে শোনা যায় নি = অশ্রুতপূর্ব
- যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি = অচিন্তিতপূর্ব
- যা পূর্বে কখনও আস্বাদিত হয় নাই = অনাস্বাদিতপূর্ব
ক্রিয়া সম্পর্কিত
- যা পুনঃ পুনঃ জ্বলিতেছে =জাজ্বল্যমান
- যা ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে = অপসৃয়মাণ
- যা বহন করা হচ্ছে = নীয়মান
- যা উপলব্ধি করা যাচ্ছে = উপলভ্যমান
- যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে = বর্ধিষ্ণু
- যা ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে = ক্ষীয়মাণ
- ক্রীড়নশীল তরঙ্গ = চলোর্মি
- যা বচন / বাক্যে প্রকাশযোগ্য নয় = অনির্বচনীয়
বলা/প্রকাশ করা
- ‘যা বলা হয়েছে’ বা ‘বলা হতে যাচ্ছে বা হবে’=বক্ষ্যমাণ = বক্ষ্যমাণ
- যা বলা হয় নি = অনুক্ত
- যা বলার যোগ্য নয় = অকথ্য
- যা প্রকাশ করা হয় নি = অব্যক্ত
- কথার মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রসঙ্গ বা প্রবচনাদি = বুকনি
- অন্যের মনোরঞ্জনের জন্য অসত্য ভাষণ = উপচার
উদ্ভিদ সম্পর্কিত
- যা মাটি ভেদ করে ওঠে = উদ্ভিদ
- যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না = বনস্পতি
- যে গাছ অন্য গাছের ওপর জন্মে = পরগাছা
- রোগনাশক গাছগাছড়া = ভেষজ
- যা গমন করে না = নগ
- ফল পাকলে যে গাছ মরে যায় = ওষধি
- যে সব গাছ থেকে ঔষধ প্রস্তুত হয় = ঔষধি
- যে জমিতে দুবার ফসল হয় = দো-ফসলা।
- সরোবরে জন্মায় যাহা = সরোজ
- নীল বর্ণের পদ্ম = ইন্দিবর
- রক্ত বর্ণ পদ্ম = কোকনদ
- শ্বেত বর্ণ পদ্ম = পুণ্ডরীক
- পদ্মের ডাঁটা বা নাল = মৃণাল
- পদ্মের ঝাড় = মৃণালিনী
- বীজ বপনের উপযুক্ত সময় = জো
খাদ্য সম্পর্কিত
- আঙুর ফল = দ্রাক্ষা
- ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য = অনুপান
- ক্ষুধার অল্পতা = অগ্নিমান্দ্য
- লবণ কম দেওয়া হয়েছে এমন = আলুনি
- যার ভাতের অভাব = হাভাতে
অন্যান্য
- যে আলোতে কুমুদ (পদ্ম) ফোটে = কৌমুদী (জ্যোৎনা)
- যা ধারণ বা পোষণ করে = ধর্ম
- অকালে উৎপন্ন কুমড়া = অকালকুষ্মাণ্ড
- অনশনে মৃত্যু = প্রায়
- হিরণ্য (স্বর্ণ) দ্বারা নির্মিত = হিরন্ময়
- অঙ্গীকৃত মাল তৈরির জন্য প্রদত্ত অগ্রিম অর্থ = দাদন
- অতিশয় রমণীয় = সুরম্য
- অগ্র-পশ্চাৎ ক্রম অনুযায়ী = আনুপূর্বিক
- অতিশয় ঘটা বা জাঁকজমক = বহ্বাড়ম্বর
- ঋণ শোধের জন্য যে ঋণ করা হয় = ঋণার্ণ
- পূর্ব ও পরের অবস্থা = পৌর্বাপর্য
- রাস্তায় ডাকাতি = রাহাজানি
- অষ্টপ্রহর ব্যবহার্য যা = আটপৌরে
- আপনাকে কেন্দ্র করে চিন্তা = আত্মকেন্দ্রিক
- মান্যব্যক্তিকে অভ্যর্থনার জন্য কিছুদূর এগিয়া যাওয়া = প্রত্যুৎগমন
- মান্যব্যক্তির বিদায়কালে কিছুদূর এগিয়া যাওয়া = অনুব্রজন
- মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে এমন = উপাবৃত্ত
- সার্থের জন্য অন্যায় অর্থ প্রদান (ঘুষ) = উপদা
- স্বমত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় যে = স্বৈরাচারী
- হাতির পিঠে আরোহী বসার স্থান = হাওদা
- যার ঈহা (ইচ্ছা) নেই = নিরীহ
- আকস্মিক দুর্দৈব = উপদ্রব
- উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ধন = রিকথ
- ঋষির দ্বারা উক্ত(কথিত) = আর্য
- ঋজুর ভাব = আর্জব
- ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ করেন যিনি = ঋত্বিক
- জীবিত থেকেও যে মৃত = জীবন্মৃত
- কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ = অধঃকায়
- কাচের তৈরি ঘর = শিশমহল
- গৃহের প্রধান প্রবেশ পথ = দেহলি,দেউড়ি
- গর্দভের বাসস্থান = খরশাল
- কপালে আঁকা তিলক = রসকলি
- ক্ষিতি, জল, তেজ বায়ু থেকে সঞ্জাত = চতুভৌতিক
- গুরুগৃহে বাস = অন্তেবাসী
- ঘর্ষণ বা পেষণজাত গন্ধ = পরিমল
- ছুতারের বৃত্তি = তক্ষণ
- ত্বরার সঙ্গে বর্তমান = সত্বর
- তরল অথচ গাঢ় = সান্দ্র
- তস্করের কাজ = তাস্কর্য
- তনুর ভাব = তনিমা
- দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান = দোয়াব
- নিচে জল আছে যার = অন্তঃসলিলা
- স্রোত আছে যার = স্রোতস্বতী।
- দৈনন্দিন জীবনের লিখিত বিবরণ = রোজনামচা
- দুগ্ধবতী গাভী =পয়স্বিনী
- ধান্যাদি পরিমাপকারী = কয়ালি
- নির্ভুল মুনিবাক্য = আপ্তবাক্য
- নিকৃষ্ট ব্যক্তি = অজন
- প্রদীপ শীর্ষের কালি = অঞ্জন
- পেটের পীড়া ও তৎসহ জ্বর = জ্বরাতিসার
- পায়ে হাঁটা = পদব্রজ
- বসন আলগা যার = অসংবৃত
- বেলা ভূমিকে অতিক্রম = উদ্বেল
- বিশেষ ভাবে দর্শন = বীক্ষণ
- মরনের জন্য অনশন = প্রায়োপবেশন
- মাথায় টাক = খলতি
- যার কিছু নেই = আকিঞ্চন
- যার পঞ্জরাস্থি ক্ষীণ = উনপাঁজুরে
- যার দিক থেকে চক্ষু ফেরানো যায়না = অসেচনক
- যার কীর্তি শ্রবণে পূণ্য জন্মে = পূণ্যশ্লোক
- লয় প্রাপ্ত হয়েছে = লীন
- শাল গাছের ন্যায় দীর্ঘাকার = শালপ্রাংশু
- ষাঁড়ের চেহারা তুল্য = ষণ্ডামার্কা
- সুদে টাকা খাটানো = তেজারতি
- স্বর্গের গঙ্গা = মন্দাকিনী
- হাতি বাঁধার রজ্জু = আন্দু
- হস্তী রাখার স্থান = বারী, পিলখানা
- হস্তী তাড়নের নিমিত্ত ব্যবহৃত লৌহদণ্ড = অঙ্কুশ
- হস্তীর চারণভূমি = প্রচার
- অব্যক্ত মধুর ধ্বনি = কলতান
- যার বাসস্থান নেই = অনিকেতন
- ইতয়ার পুত্র = ঐতরেয়
- কর্মে অতিশয় তৎপর = করিৎকর্মা
- চৌত্রিশ অক্ষরে স্তব = চৌতিশা
- জয়লাভ করতে অভ্যস্ত যে = জিষ্ণু
- জয় করার যোগ্য = জেতব্য
- দান করে যে কেড়ে নেয় = দত্তাপহারী, দত্তহারী
- বাক্য ও মনের অগোচর = অবাঙ্মনসগোচর
- ভ্রাতাদের মধ্যে সদ্ভাব = সৌভ্রাত্র
- মৃত্যু কামনায় উপবাস = প্রায়োপবেশন
- যে উপরে উঠেছে = আরূঢ়
- যে পার হতে ইচ্ছুক = তিতীর্যু
- যে অট্টালিকা দেখতে সুন্দর = হর্ম্য
- যে অস্ত্র একশত জনকে বধ করতে পারে = শতঘ্নী
- যে বহু বুলি বলে = হরবোলাযা
- বিচারের দ্বারা ঠিক করা যায় না = অপ্রতর্ক্য
- যা মিলিয়ে যাচ্ছে = অপমৃয়মান
- যা পূর্বে কথিত বা উল্লিখিত = প্রাগুক্ত
- যা শল্য ব্যথা দূর করে = বিশল্যকরণী
- যার উদর বক্রগতি সম্পন্ন = কাকোদর
- শুনতে ইচ্ছুক=শুশ্রুষু
- হাতির পিঠে আরোহী বসার স্থান = হাওদা
- যা সহজে অপনীত হবার নয় = দুরপনেয়
- সন্তানের মত যত্নে = অপত্যনির্বিশেষে
- অকালে পক্ব হয়েছে যা = অকালপক্ব
- অগ্রে জন্মগ্রহণ করেছে যে = অগ্রজ
- অনেক কষ্টে ভিক্ষা পাওয়া যায় যখন = দুর্ভিক্ষ
- অনেকের মধ্যে একজন = অন্যতম।
- দুয়ের মধ্যে এক = অন্যতর
- অনুসন্ধান করার ইচ্ছা = অনুসন্ধিৎসা
- অবশ্যই যা ঘটবে = অবশ্যম্ভাবী
- কোনো ভাবেই যা নিবারণ করা যায় না = অনিবার্য
- পরিহার করা যায় না এমন = অপরিহার্য
- অল্প ব্যয় করে যে = মিতব্যয়ী
- ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে = জিতেন্দ্রিয়
- চোখে যার লজ্জা নেই = চশমখোর
- আকাশ পথে যে যান ব্যবহার করা যায় = নভোযান
- আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত = আদ্যোপান্ত
- আপনার বর্ণ লুকায় যে = বর্ণচোরা
- ক্ষণকালের জন্য স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী
- জন্ম থেকে আরম্ভ করে = আজন্ম
- জলে ও স্থলে চরে যে = উভচর
- একই গুরুর শিষ্য = সতীর্থ
- একই মাতার উদরে জন্ম যাদের = সহোদর
- একই বিষয়ে যার চিত্ত নিবিষ্ট = একাগ্রচিত্ত
- একই সময়ে = যুগপৎ
- একই সময়ে বর্তমান = সমসাময়িক।
- শৈশবকাল অবধি = আশৈশব
- শুকনো পাতার শব্দ =মর্মর
- যার বিশেষ খ্যাতি আছে = বিখ্যাত
- সমস্ত পৃথিবীর লোকের বন্দনাযোগ্য =বিশ্ববন্দিত, বিশ্ববন্দ্য
- সারা দুনিয়ায় খ্যাত = জগদ্বিখ্যাত
- হঠাৎ রাগ করে যে = রগচটা
- কোথাও উঁচু কোথাও নিচু = বন্ধুর
- কী করতে হবে তা বুঝতে না পারা = কিংকর্তব্যবিমূঢ়
- কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী = কর্মঠ
- কোকিলের স্বর = কুহু
- নষ্ট হয় যা = নশ্বর
- যা সহজে ভেঙে যায় = ভঙ্গুর
- পা থেকে মাথা পর্যন্ত = আপাদমস্তক
- প্রহরা দেয় যে = প্রহরী
- পেছনে সরে যাওয়া = পশ্চাদপসরণ
- মরণ পর্যন্ত = আমরণ
- মৃতের মতো অবস্থা = মুমূর্ষু
- যা মর্ম স্পর্শ করে = মর্মস্পর্শী
- যা একইভাবে চলে = গতানুগতিক
- যার তল স্পর্শ করা যায় না = অতলস্পর্শী
- পুতুল পূজা করে যে = পৌত্তলিক
- চালচলনের উৎকর্ষ = সভ্যতা
- প্রাচীন ইতিহাস = প্রত্নতাত্ত্বিক
- আলোচনার বিষয়বস্তু = আলোচ্য
- মৃত্তিকা দিয়ে নির্মিত = মৃন্ময়
- বিচিত্রতায় পূর্ণ যা = বৈচিত্র্যপূর্ণ