কৃষ্ণকান্তের উইল (সংক্ষিপ্ত কাহিনী)

Estimated Reading Time: 6 Minutes

কৃষ্ণকান্ত ও রামকান্ত দুই ভাই। তাদের জমিদারি ছিল। দুই ভাইয়ের মধ্যেকার অগাধ বিশ্বস্ততার কারণে জমিদারি ছিল বড় ভাই কৃষ্ণকান্তের নামে। রামকান্তের আকশ্বিক মৃত্যু হলে কৃষ্ণকান্ত তার দুই ছেলেকে তিন আনা করে, স্ত্রী কন্যাকে এক আনা করে ও ভাইয়ের ছেলে গোবিন্দলালকে আট আনা উইল করে দেন। কিন্তু কৃষ্ণকান্তের অবাধ্য পুত্র হরলাল তাতে বাধ সাধল। সে সম্পত্তির অর্ধেক অংশ দাবি করে। এমনকি সে কৃষ্ণকান্তকে হুমকি দেয় যদি অর্ধের সম্পত্তি না পায় তবে সে বিধবা বিবাহ করে বংশের মান ক্ষুন্ন করবে। এতে কৃষ্ণকান্ত আবার উইল লিখলেন যাতে হরলালের কোন অংশই থাকল না।

কৃষ্ণকান্ত তার ভ্রাত্যুষ্পুত্র গোবিন্দলালকে প্রচণ্ড ভালবাসতেন। কিন্তু গোবিন্দলালের নৈতিকস্থুলন হয়। স্ত্রী ভ্রমর থাকা সত্ত্বেও, বিধবা রোহিনী প্ররোচনা করলে গোবিন্দলাল তার প্রেমে পরে যায়। ভ্রমর তার বাবার অসুস্থতার জন্য বাবার বাড়ি গেলে গোবিন্দলাল ও রোহিনী পালিয়ে যায়। এতে কৃষ্ণকান্ত রেগে শেষবারের মত উইল লিখলেন যাতে গোবিন্দলালের পরিবর্তে ভ্রমরের নামে আট আনা উইল করে দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর কৃষ্ণকান্ত মারা যান।

এদিকে রোহিনীকে নায়ক চরিত্রহীনা হিসেবে পায়। কারণ সে এখন আবার নিশাকরের প্রেমে পড়ে যায়। এতে রাগান্বিত গোবিন্দলাল রোহিনীকে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ গোবিন্দলালকে গ্রেপ্তার করলে গোবিন্দলালের শ্বশুর মিথ্যাস্বাক্ষী সাজিয়ে তাকে মুক্ত করে। দীর্ঘ ৭ বছর পর ফেরত এসে গোবিন্দলাল দেখে স্বামীর শোকে ভ্রমর মৃত্যুপথযাত্রী। কিছুদিন পর ভ্রমর মারা যায়। নিজ কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত গোবিন্দলাল পাগলপ্রায় হয়ে গৃহত্যাগ করে। দীর্ঘ ১২ বছর পর আবার এক ঝলক বাড়ি আসে সে। কিন্তু কেউ তাকে প্রথমে চিনতে পারে না। পরে পরিচয় দিলে সবাই যখন তাকে চিনতে পারে তারপরেই সে আবার চিরতরে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। আর কখনও গ্রামে দেখা যায় না তাকে।

1 thought on “কৃষ্ণকান্তের উইল (সংক্ষিপ্ত কাহিনী)”

Leave a Reply