দুর্গেশনন্দিনী (সংক্ষিপ্ত কাহিনী)

Estimated Reading Time: 5 Minutes

উপন্যাস; প্রধান চরিত্র: কুমার জগৎসিংহ, তিলোত্তমার, আয়েশা, ওসমান

পাঠান আর মোগলদের মধ্যে উড়িষ্যার দখল নিয়ে দন্দ চলছিল। দিল্লীর অধিপতি তার প্রধান সেনাপতি অম্বররাজ মানসিংহকে উড়িষ্যা দখল করতে পাঠান। মানসিংহ তার পুত্র জগৎসিংহকে এ কাজে নিয়োজিত করেন। জগৎসিংহের বার বার আক্রমণে পাঠানরা তটস্থ হয়ে পরে। একদিন কুমার জগৎসিংহ বিষ্ণুপুর থেকে মান্দারণ যাত্রাকালে ঝড়ের কবলে পড়ে এক মন্দিরে আশ্রয় নেন। সেখানে মান্দারণ দুর্গের অধিপতি জয়ধর সিংহের একমাত্র পুত্র মহারাজ বীরেন্দ্র সিংহের স্ত্রী বিমলা ও তাঁর কন্যা দুর্গেশনন্দিনী (অর্থ দুর্গ প্রধানের কন্যা) তিলোত্তমার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তারা নিজেদের প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখলেও জগৎসিংহ তিলোত্তমা পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে পাঠান সেনাপতি ওসমান খাঁ সুকৌশলে মান্দারণ দুর্গ অধিকার করে ও রাজা বীরেন্দ্র সিংহকে তাঁর স্ত্রী বিমলা ও কন্যা তিলোত্তমাসহ বন্দী করে। কুমার জগৎসিংহও বন্দী হন। পাঠান নবাব কতলু খাঁ বীরেন্দ্র সিংহকে মৃত্যুদন্ড দেন। পরে বীরেন্দ্রের স্ত্রী বিমলা পাঠান নবাব কতলু খাঁকে হত্যা করে পতি হত্যার প্রতিশোধ নেন।

পরবর্তীতে পাঠানরা কুমার জগৎসিংহের মাধ্যমে অম্বররাজ মানসিংহ ও দিল্লীর অধিপতির সাথে সন্ধি করে। অন্যদিকে কতলু খাঁর কন্যা নবাবজাদী আয়েশা জগৎসিংহের প্রেমে পড়েন। ফলে আয়েশার প্রণয়ী পাঠান সেনাপতি ওসমান ক্রোধে কুমার জগৎ সিংহের সঙ্গে দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। পরিশেষে মোঘলদের মাধ্যমে মান্দারণ মহারাণী বিমলার হাতে রাজ্যপাঠ হস্তান্তরিত হয় এবং কুমার জগৎসিংহ ও দুর্গেশনন্দিনী তিলোত্তমার মিলন ঘটে।

(সংগৃহিত ও পরিমার্জিত)

Leave a Reply