দৃষ্টিপ্রদীপ (উপন্যাস)

Estimated Reading Time: 7 Minutes

উপন্যাস, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

উপন্যাসের নায়ক জিতেন তথা জিতু। উপন্যাসের শুরুতে জিতু তার বড় ভাই নিতাই ও বোন সীতাসহ তাদের পরিবারকে দেখা যায় দার্জিলিং-এ। জিতুর বাবা এখানে চাকরি করে। দার্জিলিং-এর পাহাড়ি এলাকায় তাদের বেশ ভালোই কাটছিল। কিন্তু জিতুর বাবার চাকরি চলে যাওয়ার দরুন তারা পাহাড় ছেড়ে সমতলে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। তারা আটঘরায় তাদের জ্যাঠামশায়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তবে সেখানে জিতুর পরিবারের উপর কেউ বিশেষ খুশি ছিল না। এটি তাদের পূর্ব-পুরুষদের পৈতৃক নিবাস। কিন্তু জিতুর বাবার জ্ঞাতি সহোদরেরা অনেক আগেই তাদের সব জমি-বাড়ি আত্মসাৎ করেছিল। তাই নিজেদের বাড়িতেই ওদের দাসত্ব মেনে নিতে হয়।

চাকুরী না পেয়ে একদিন জিতুর বাবা উন্মাদ হয়ে যান; অর্থ ফুরিয়ে আসে। নিতেন ও জিতেন নিজের উন্মাদ পিতাকে খাওয়া-পরাতে অক্ষমতার কারণে দূর গায়ের জলার পাশে রেখে দৌড়ে পালিয়ে আসে। দারিদ্যতা বড় নিষ্ঠুর! অতঃপর জিতুর বাবা মারা যান।

জিতু কিছুটা বড় হলে সে শৈলদিদির বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। সে পড়াশোনার জন্য একসময় গ্রাম ছেড়ে চলে আসে শ্রীরামপুরে। এখান থেকে জিতুর ভবঘুরে জীবনের সূত্রপাত হয়। জিতু কলকাতায় নীলাম্বর রায়ের বাড়িতে চাকরি পায়। তবে সে বেশিদিন ঐ জায়গায় চাকরি করে না। এরই মাঝে জিতুর অমতে এক বিপত্নীক লোকের সাথে সীতার বিয়ে দেয় জিতুর জ্যাঠামশায়; নিতাই বিয়ে করে। এর কিছুদিন পর জিতুর মা মারা যায়।

জিতু কিছুসময় দাদার সাথে কাটিয়ে ঘুরতে ঘুরতে দ্বারবাসিনী গ্রামে এক আখড়াবাড়ির সন্ধান পায়। সেখানে বৈষ্ণবী মালতীর সঙ্গে জিতুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মালতী জিতুকে ফিরিয়ে দেয়। মালতীর বাবার বন্ধু উদ্ধবদাস বাবাজী তাদের সম্পর্ককে ভাল চোখে দেখে নি। ফলে জিতু আখড়া ছেড়ে চলে যায়। এরপর জিতু বটেশ্বরনাথ পাহাড়ে এক সাধুর সঙ্গে কিছুকাল কাটায়। সেখানে থাকাকালীন সময়ে কলকাতা থেকে দাদার অসুস্থতার চিঠি পেলে সে কলকাতা যায়। কিন্তু সে দাদাকে বাঁচাতে পারে না। জিতু তার বৌদি ও তার ছেলে-মেয়ের দায়িত্ব নিয়ে কামালপুর নামক স্থানে পাঠশালায় পড়াতে যায় এবং সেখানে হিরন্ময়ী নামক এক মেয়েকে বিয়ে করে। কিছুকাল পরে রানাঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে সে তার এক পরিচিতজনের কাছে মালতীর মৃত্যুসংবাদ পায়।

আরও সংক্ষিপ্ত কাহিনী

Category: সংক্ষিপ্ত কাহিনী

Leave a Reply