নদ-নদী
নদী বলতে মিষ্টি জলের একটি প্রাকৃতিক আধারকে বোঝায়। নদ ও নদীর মধ্যে পার্থক্য ব্যাকরণগত। সাধারণত নারীবাচক নামগুলো নদী এবং পুরুষবাচক নামগুলো নদ হিসেবে চিহ্নিত। নদী সম্পর্কিত কিছু সংজ্ঞা –
দীর্ঘতম নদী: যে নদী সবচেয়ে বেশি পথ অতিক্রম করে।
বৃহত্তম নদী: যে নদী দিয়ে প্রতি মিনিটে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয়।
প্রশস্ততম নদী: যে নদীর প্রস্থ সবচেয়ে বেশি।
শাখা নদী: যে নদী অন্য কোনো নদী থেকে সৃষ্টি হয়।
উপনদী: যে নদী অন্য কোনো নদীতে গিয়ে মেশে।
মোহনা: নদী ও সাগর যেখানে মিলিত হয়।
খাড়ি: নদীর প্রশস্ত মোহনাকে খাড়ি বলে।
বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা প্রায় ৭০০টি এবং নদের সংখ্যা ৩টি: ব্রহ্মপুত্র, আড়িয়াল খাঁ ও কপোতাক্ষ। নদীসমূহের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২২,১৫৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক/আন্তসীমান্ত নদী মোট ৫৭টি। এর মধ্যে মিয়ানমারের সাথে আন্তসীমান্ত নদী ৩টি: সাঙ্গু, মাতামুহুরী, নাফ এবং ভারতে উৎপন্ন বাংলাদেশী নদী ৫৪টি। অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৪টি নদী (কুলিখ, আত্রাই, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন) প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে কুলিখ ব্যতিত বাকি ৩টি নদী পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের –
সবচেয়ে নাব্য / বৃহত্তম / প্রশস্ততম / দীর্ঘতম / গভীরতম নদী | মেঘনা |
সবচেয়ে দীর্ঘতম নদ | ব্রহ্মপুত্র |
সবচেয়ে খরস্রোতা নদী | কর্ণফুলী |
বাংলাদেশের সীমানায় হালদা ও সাঙ্গু নদীর উৎপত্তি এবং সমপ্তি ঘটেছে। হালদা নদী দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন কেন্দ্র। এখানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছের পোনা সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী একটি নদীর নাম হাড়িয়াভাঙ্গা। হাড়িয়াভাঙ্গার মোহনায় দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ অবস্থিত (ভারতে নাম পূর্বাশা)। এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানপ্রধান নদীগুলো –

পদ্মা
পদ্মা নদীর উৎপত্তি হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে। এর অপর নাম কীর্তিনাশা। ভারতের গঙ্গা নদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-কুষ্টিয়া জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ‘পদ্মা’ নাম ধারণ করেছে।
প্রধান শাখানদীগুলো হল: ভৈরব, কুমার, মাথাভাঙ্গা, গড়াই, মধুমতী, ইছামতি, আড়িয়াল খাঁ, কপোতাক্ষ। কপোতাক্ষ ভৈরব নদীর একটি শাখা।
পদ্মার উপনদীগুলো হল: পুনর্ভবা, মহানন্দা, নাগর, পাগলা, কুলিক, টাংগন ইত্যাদি।
পুনর্ভবা, নাগর, কুলিক, টাংগন মূলত মহানন্দার উপনদী।

পদ্মা নদী দৌলতদিয়ার কছে গোয়ালন্দে (বা অপরপারে আরিচায়) যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এ দুই নদীর মিলিত ধারা পদ্মা নামে অগ্রসর হয়ে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। মেঘনা নামেই এ তিন নদীর মিলিত ধারা বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা
ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি হয়েছে হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের মানস সরোবর হতে। সংস্কৃত ভাষায় ব্রহ্মপুত্রের অর্থ ব্রহ্মার পুত্র। এর পূর্ব নাম ছিল লৌহিত্য। নদটি ৩টি দেশ: চীন, ভারত ও বাংলাদেশ -এর সীমানার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি কুড়িগ্রাম জেলায় মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরপর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে মধুপুর গড়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরব বাজারের কাছে মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের –
শাখানদী: যমুনা, বংশী ও শীতলক্ষ্যা।
উপনদী: তিস্তা ও ধরলা।
১৭৮৭ সালে এক ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ উত্থিত হয়ে নতুন স্রোতধারার সৃষ্টি করে। জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে এ স্রোতধারা ‘যমুনা’ নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চড় আছে যমুনা নদীতে। যমুনার প্রধান –
শাখানদী: ধলেশ্বরী।
উপনদী: তিস্তা, করতোয়া ও আত্রাই।
আবার ধলেশ্বরী নদীর গুরুত্বপূর্ণ শাখানদী বুড়িগঙ্গা।

মেঘনা
বাংলাদেশের বৃহত্তম, প্রশস্ততম, গভীরতম ও দীর্ঘতম নদী মেঘনা। আসামের নাগা মনিপুর পাহাড়ের দক্ষিণে লুসাই পাহাড় থেকে নদীটির উৎপত্তি এবং সিলেট জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ভারতে এ নদীর নাম বরাক। বরাক নদীর প্রবাহের সাথে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী মিলিত হয়ে মেঘনা নাম ধারণ করেছে। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩০ কি.মি। মেঘনাকে বাংলাদেশের চিরযৌবনা নদী বলা হয়।
উপনদী: শীতলক্ষ্যা, ডাকাতিয়া, মনু, বাউলাউ, তিতাস, গোমতী।
নদীটি –
- পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়েছে – ভৈরব বাজারে।
- পদ্মা ও যমুনার মিলিত প্রবাহ (বা পদ্মা)-র সাথে মিলিত হয়েছে – চাঁদপুরে।
কর্ণফুলী
কর্ণফুলী নদী মিজোরামের লুসাই পাহাড়ের লংলেহ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এর প্রধান উপনদী হলো কাসালং, হালদা ও বোয়ালখালী।
হালদা
বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন কেন্দ্র। নদীটি খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বতশৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
আরও কিছু নাদীর নাম ও সংক্ষিপ্ত তথ্য –
নদী | তথ্য |
---|---|
গড়াই-মধুমতি | পদ্মা নদীর প্রধান শাখানদী। একটিই নদী উজানে গড়াই এবং ভাটিতে মধুমতি নামে পরিচিত। |
গোমতী | এটি মেঘনার একটি উপনদী। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্বপ্রান্তীয় পার্বত্য অঞ্চল ডুমুর নামক স্থান থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লা সদর উপজেলার কটক বাজারের কাছে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নিয়মিত বিরতিতে বন্যা সংঘটিত হত বলে এ নদী একসময় ‘কুমিল্লা শহরের দুঃখ’ হিসেবে পরিচিত ছিল। ডাকাতিয়া গোমতীর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপনদী এবং এর শাখা নদীর নাম বুড়ি। |
করতোয়া | ভুটান সীমান্তের উত্তরে সিকিমের পর্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে ইছামতী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটি কিছু জায়গায় পুরাতন তিস্তা নামে আখ্যায়িত হয়ে থাকে। |
তিস্তা | সিকিমের পর্বতের চিতামু হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। একে সিকিম ও উত্তরবঙ্গের জীবনরেখা বলা হয়। নদীটি ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়েছে। তিস্তা নামটি এসেছে ত্রিস্রোতা বা তিন প্রবাহ থেকে। নদীটি নীলফামারী জেলার কালীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। |
শীতলক্ষ্যা | পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপন্ন (ব্রক্ষপুত্রের শাখানদী) হয়ে নদীটি ধলেশ্বরী নদীতে (ধলেশ্বরীর উপনদী) পতিত হয়েছে। বিখ্যাত মসলিন শিল্প শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে বন্ধ ‘আদমজী জুট মিল’ শীতলক্ষ্যার তীরে অবস্থিত। নারায়ণগঞ্জ শহর ও নদী বন্দর শীতলক্ষ্যার তীরে অবস্থিত। |
ভৈরব | খুলনা ও যশোর শহর এ নদীর তীরে অবস্থিত। |
মাতামুহুরী | বান্দরবনের লামার মাইভার পর্বত থেকে এ নদীর সৃষ্টি হয়েছে। মগ ভাষায় এ নদী নাম মামুরি। |
সাঙ্গু বা শঙ্খ | আরকান পাহাড় থেকে এ নদীর উৎপত্তি। |
কংস | ভারতের শিলং মালভূমির পূর্বভাগে অবস্থিত গারো পাহাড় থেকে এ নদীর উৎপত্তি। |
নাফ | বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে পৃথককারী নদী। আরকান পাহাড় থেকে এ নদীর উৎপত্তি। |
এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য –
- পুরাতন ব্রহ্মপুত্র –(থেকে উৎপন্ন হয়েছে)–> শীতলক্ষ্যা — (পতিত হয়েছে) –> ধলেশ্বরী
- যমুনা > ধলেশ্বরী > বুড়িগঙ্গা
নদী তীরের গুরুত্বপূর্ণ শহর –
নদী | তীরবর্তী শহর |
---|---|
পদ্মা | রাজশাহী |
যমুনা | সিরাজগঞ্জ |
সুরমা | সিলেট, সুনামগঞ্জ |
করতোয়া | বগুড়া, পঞ্চগড় |
তিস্তা | লালমনিরহাট |
রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম | কর্ণফুলী |
বান্দরবন | সাঙ্গু |
খাগড়াছড়ি | চেঙ্গী |
বিবিসি বাংলা: বাংলাদেশের নদ-নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা – এর মানে কী?
অন্যান্য জলাধার
হাওড়
বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল হাওড় অধূষিত এলাকা। উল্লেখযোগ্য হাওরগুলো নিম্নরূপ-
অবস্থান | হাওর |
---|---|
কিশোরগঞ্জ | নিকলী হাওর, ইটনার হাওর, তল্লার হাওর, বাড়ির হাওর, মাহমুদপুর হাওর, সুরমা বাউলার হাওর, সোমাই হাওর, হুমাইপুর হাওর |
সুনামগঞ্জ | টাঙ্গুয়ার হাওর, নলুয়ার হাওর, পচাশোল হাওর, মইয়ার হাওর, শনির হাওর |
মৌলভীবাজার | হাকালুকি হাওর, হাইল হাওর |
সিলেট | রায়ের গাঁও হাওর |
জলপ্রপাত/ঝর্ণা/বিল
জলপ্রপাত | তথ্য |
---|---|
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত | মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখার পাথুড়িয়া পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়েছে। |
হামহাম জলপ্রপাত | মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। |
শৈল প্রপাত | বান্দরবন জেলায় অবস্থিত। |
হিমছড়ি ঝর্ণা | কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। |
শুভলং ঝর্ণা | রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত। |
চলন বিল | বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল। এটি পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলা জুড়ে বিস্তৃত। |
ডাকাতিয়া বিল | খুলনা জেলায় অবস্থিত। |
কট্টলী বিল | যশোর জেলায় অবস্থিত। |
চর
বাংলাদেশের বেশিরভাগ চড় যমুনা নদীতে। নদনদীর ভাঙাগড়ার প্রক্রিয়ায় নদীর প্রবাহখাতে দ্বীপচর হিসেবে অথবা নদীতীরে সংযুক্ত ভূভাগ হিসেবে বালুচর গড়ে ওঠে। উল্লেখযোগ্য চড়গুলো নিম্নরূপ –
অবস্থান | চর |
---|---|
ভোলা | চর ফ্যাসান, চর মানিক, চর জব্বার, চর নিউটন, চর কুকুড়ি, চর নিজাম, চর মনপুরা |
ফেনী | মুহুরীর চর |
নোয়াখালী | চর শ্রীজনি, উড়ির চর, ভাসান চর |
লক্ষীপুর | চর আলেকজান্ডার, চর গজারিয়া |
রাজশাহী | নির্মল চর |
দ্বীপ
দ্বীপ | তথ্য |
---|---|
ভোলা | বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ এবং একমাত্র দ্বীপ জেলা। এটি মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। দ্বীপটি ‘বাংলাদেশের দ্বীপের রানী’ নামে পরিচিত। |
সেন্টমার্টিন | দেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। দ্বীপটি নাফ নদীর মুখে অবস্থিত। দ্বীপটি একটি ইউনিয়ন। এর স্থানীয় নাম নারিকেল জিঞ্জিরা। দ্বীপের দক্ষিণাংশ ছেড়া দ্বীপ নামে পরিচিত। জোয়ারের সময় এ অংশটি মূল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। |
দক্ষিণ তালপট্টি | বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ একটি দ্বীপ। এটি হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় অবস্থিত। |
মহেশখালী | বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। এ দ্বীপের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন করা হচ্ছে। |
নিঝুম দ্বীপ | নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি দ্বীপ। মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। |
কুতুবদিয়া | নৌ চলাচলের সুবিধার জন্য বাতিঘর আছে। |
সন্দীপ | চট্টগ্রাম জেলার একটি দ্বীপ উপজেলা। |
সোনাদিয়া | কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত একটি দ্বীপ। |
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এক নজরে ও অন্যান্য তথ্য –
- নদ ও নদীর মধ্যে পার্থক্য ব্যাকরণগত।
- বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা প্রায় ৭০০টি এবং নদের সংখ্যা ৩টি (ব্রহ্মপুত্র, আড়িয়াল খাঁ ও কপোতাক্ষ)। আন্তর্জাতিক/আন্তসীমান্ত নদী মোট ৫৭টি। মিয়ানমারের সাথে ৩টি: সাঙ্গু, মাতামুহুরী, নাফ এবং ভারতের সাথে ৫৪টি নদী রয়েছে।
- কুলিখ, আত্রাই, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদী বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে।
- হালদা ও সাঙ্গু নদীর উৎপত্তি এবং সমপ্তি বাংলাদেশে।
- ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নদী – হাড়িয়াভাঙ্গা। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নদী – নাফ।
- পদ্মার গুরুত্বপূর্ণ শাখানদী – ভৈরব, কুমার, গড়াই, মধুমতী, ইছামতি, আড়িয়াল খাঁ।
- পদ্মার গুরুত্বপূর্ণ উপনদী – পুনর্ভবা, মহানন্দা।
- ব্রহ্মপুত্রের গুরুত্বপূর্ণ শাখানদী – যমুনা, শীতলক্ষ্যা। উপনদী – তিস্তা, ধরলা।
- যমুনার গুরুত্বপূর্ণ শাখানদী – ধলেশ্বরী। উপনদী – তিস্তা, আত্রাই। ধলেশ্বরী নদীর শাখানদী বুড়িগঙ্গা।
- বাংলাদেশের বৃহত্তম, প্রশস্ততম, গভীরতম ও দীর্ঘতম নদী মেঘনা। অপর নাম বরাক।
- মেঘনার গুরুত্বপূর্ণ উপনদী – শীতলক্ষ্যা, ডাকাতিয়া, তিতাস, গোমতী।
- কর্ণফুলীর উপনদী হালদা।
- ডকাতিয়া বিল খুলনা জেলায় অবস্থিত।
- ডাকাতিয়া নদী মেঘনার উপনদী।
- ধরলা ব্রহ্মপুত্রের উপনদী। ধলেশ্বরী যমুনার শাখানদী।
- দীঘিনালা বনাঞ্চল খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত।
- সাম্প্রতিক তথ্য: পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে শুরু হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে পর্যন্ত সড়কটি হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মেরিন ড্রাইভ। এর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২৫০ কিলোমিটারের।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, সীমানা ও ভূপ্রকৃতি