নৌকাডুবি (সংক্ষিপ্ত কাহিনী)

Estimated Reading Time: 4 Minutes

উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রমেশ। রমেশের বন্ধু যোগেন্দ্রর ছোট বোন হেমামালিনী। হেমামালিনী আর রমেশ দুইজনেই পরষ্পরের প্রতি দুর্বল ছিলো। কিন্তু আইন পাশ করার সাথে সাথেই বাবা রমেশের বিয়ে দিয়ে দেয়। রমেশ জোর আপত্তি জানায়, কিন্তু তা ধোপে টিকেনি। গ্রামের বাড়িতে রমেশের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বিয়ের পর বউকে নিয়ে বাড়িতে আসার পথে প্রচণ্ড ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বরযাত্রীদের নৌকাবহর। রক্ষা পায় শুধু রমেশ। সাথে রক্ষা পায় ‘কমলা’ নামক এক মেয়ে রমেশ যাকে নিজের স্ত্রী মনে করে। নতুন স্ত্রীর সাথে সংসার শুরু করতে গিয়ে রমেশ বুঝতে পারে কমলা তার স্ত্রী নয়। ঝড়ের সময় তাদের পাশাপাশি আরো একটি নৌকাডুবি হয়, কমলা ছিল সেই নৌকার যাত্রী। নীতির গ্যাঁড়াকলে পরে রমেশ না পারছিলো কমলাকে ত্যাগ করতে, না পারছিলো গ্রহণ করতে।

হেমামালিনীর বাসায় রমেশের বিয়ের কথা কেউ জানতো না। বিয়ের পরও রমেশের সেই বাড়িতে যাতায়াত করত। একসময় রমেশ আর হেমামালিনীর পরস্পরের প্রতি দুর্বলতা পরিণত হয় গভীর প্রণয়ে। কিন্তু আকস্মিকভাবে রমেশের বিয়ের খবর যোগেন্দ্র জেনে গেলে। রমেশের সাথে যোগেন্দ্রের পরিবার থেকে সব ধরনের সম্পর্ক ছেদ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিশেষে কমলাকে নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার লক্ষ্যে রমেশ দূরের পথে পাড়ি জমায়।

উপন্যাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Leave a Reply