পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম নদী ‘পদ্মা’-র উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। নিমার্ণ শেষ হলে সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষকে সড়ক ও রেলপথে ঢাকার সাথে যুক্ত করবে। সেতুটি সংযুক্ত করবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুর জাজিরা – কে। কংক্রিট ও স্টিল দ্বারা নির্মিত সেতুটি হবে দ্বিতল বিশিষ্ট এবং ‘S’ আকৃতির। উপরে থাকবে ৭২ ফুটের ৪ লেনের সড়কপথ এবং নিচে থাকবে রেলপথ। সেতুটিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন পরিবহন সুবিধা থাকবে।

দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার

পাইল ও পিলার
মোট পাইল ২৯৪ টি ও মোট পিলার ৪২টি।

স্প্যান
৪২ টি পিলার এর উপর স্থাপন করা হয়েছে ৪১ টি স্প্যান। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার।
২০১৭ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয় এবং ২০২০ সালে ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ তম পিলারে ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পুরো পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়।
এক নজরে পদ্মা সেতু-
- প্রকল্পের নাম
-
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প
- উদ্বোধন
-
১২ ডিসেম্বর ২০১৫। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী শাসন এবং মূল সেতুর কাজের উদ্বোধন করেন।
- নির্মান
-
সেতু নির্মাণ করছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এবং নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন লি.।
- ভূমিকম্প সহনশীলতা
- রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়।
- ভায়াডাক্ট
-
পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট অংশ প্রায় ৩.২ কিলোমিটার এবং ভায়াডাক্ট পিলার (ভূমি অংশের পিলার) ৮১ টি।
- উচ্চতা
-
পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট
- খরচ
-
৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
- জিডিপিতে অবদান
-
সেতুটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়াবে। উল্লেখ্য এ হিসাবে রেল সংযোগের বিষয়টি ছিল না।