জেলা বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। কয়েকটি উপজেলা নিয়ে একটি জেলা গঠিত হয়। প্রশাসনিকভাবে একটি জেলা একটি বিভাগের অধিক্ষেত্রভুক্ত। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর বর্তমান বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যেসকল জেলা বিদ্যমান ছিল সেগুলো বৃহত্তর জেলা নামে পরিচিত। বৃহত্তর জেলা ১৭ টি।
বৃহত্তর ঢাকা | ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর |
বৃহত্তর ময়মনসিংহ | ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ |
বৃহত্তর দিনাজপুর | দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় |
বৃহত্তর রংপুর | রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা |
বৃহত্তর রাজশাহী | রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ |
বৃহত্তর যশোর | যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল |
বৃহত্তর কুষ্টিয়া | কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর |
বৃহত্তর খুলনা | খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা |
বৃহত্তর ফরিদপুর | ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর |
বৃহত্তর বগুড়া | বগুড়া, জয়পুরহাট |
বৃহত্তর পাবনা | পাবনা, সিরাজগঞ্জ |
বৃহত্তর বরিশাল | বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা |
বৃহত্তর কুমিল্লা | কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া |
বৃহত্তর নোয়াখালী | নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী |
বৃহত্তর সিলেট | সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার |
বৃহত্তর চট্টগ্রাম | চট্টগ্রাম, কক্সবাজার |
পার্বত্য চট্টগ্রাম | রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি |
তবে দেশ ভাগের পূর্বে পূর্ববঙ্গে ১৫টি জেলা ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় নদীয়া জেলা থেকে বৃহত্তর কুষ্টিয়াকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে গণভোটের মাধ্যমে বৃহত্তর সিলেট পাকিস্তানে যোগদান করলে বৃহত্তর জেলা হয় ১৭টি। পাকিস্তান শাসনামলে ১৯৬৯ সালে টাঙ্গাইল (১৮তম) ও পটুয়াখালী (১৯তম) জেলার সৃষ্টি হয়। ফলে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ১৯টি জেলা ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নবগঠিত জেলা জামালপুর। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের ২০তম জেলা হিসেবে জামালপুর মহাকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। রাষ্ট্রপতি এরশাদ মহুকুমাগুলোকে জেলায় উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া চালু করেন। ফলে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের দ্বারা ১৯৮৪ সালে ৬৪টি জেলা গঠন করা হয়। প্রস্তাবিত ৬৫ তম জেলা ভৈরব। ২০০৯ সালের ১২ অক্টোবর সরকার নীতিগতভাবে ভৈরব জেলা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।