প্রাচীনকালে ‘বাংলা’ নামে অখন্ড কোন রাষ্ট্র বা রাজ্য ছিল না। বর্তমান বাংলা ভূখন্ড (বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) তখন ছোট ছোট রাজ্য বা অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। এসব রাজ্যের শাসকরা স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসন করতেন। স্বাধীন অঞ্চলগুলো সমষ্টিগতভাবে ‘জনপদ’ নামে পরিচিত ছিল।
প্রাচীনকালে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদ এক অর্থে বাংলার বর্তমান ভূখণ্ডকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। ফলে বিদেশী শক্তিগুলো ইতিহাসের প্রাথমিক যুগে এ অঞ্চলে সুবিধা করতে পরে নি।
প্রাচীন রোমান ও গ্রিকদের কাছে এই অঞ্চল গঙ্গারিডাই নামে পরিচিত ছিল।
জনপদ
জনপদ চিহ্নিত করার সমস্যা হলো প্রতিটি জনপদের সীমা সবসময় একই রকম থাকে নি। কালক্রমে সীমা বেড়েছে আবার কমেছে।
প্রাচীন বাংলায় প্রায় ১৬টি জনপদের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল-
জনপদ | অবস্থান | তথ্য |
---|---|---|
গৌড় | চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বর্ধমান ও নদীয়া | সপ্তম শতকে শশাঙ্ককে গৌড় রাজ বলা হত। তার সময় গৌড়ের রাজধানী ছিল কর্ণসূবর্ণে (মুর্শিদাবাদ)। |
বঙ্গ | ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও ফরিদপুর (বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল) | আয়তনে বৃহত্তম ও প্রথম স্বাধীন জনপদ। বঙ্গ থেকে বাঙালি জাতির উৎপত্তি ঘটেছিল। |
পুন্ড্র | বৃহত্তর বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর | বাংলার সবচেয়ে প্রাচীনতম এবং সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে সবচেয়ে সমৃদ্ধ জনপদ। এর রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর / মহাস্থানগড়। মহাস্থানগড়ে সম্রাট অশোকে আমলের শিলালিপি পাওয়া গেছে। |
হরিকেল | সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম | |
সমতট | বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখানী ও ত্রিপুরা | বঙ্গের প্রতিবেশী জনপদ। কেউ কেউ মনে করেন কুমিল্লার আদি নাম সমতট। রাজধানী ছিল বড় কামতা (কুমিল্লা শহর থেকে ১২ মাইল পশ্চিমে)। কুমিল্লার ময়নামতিতে প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া গেছে যার মধ্যে শালবন বিহার অন্যতম। |
বরেন্দ্র | বগুড়া, দিনাজপুর, রাজশাহী ও পাবনা | মূলত পুন্ড্রের একটি অংশ জুড়ে এর অবস্থান ছিল। |
তম্রলিপ্ত / দন্ডভুক্তি | মেদিনীপুর | মেদিনীপুর জেলার তমলুক ছিল এর প্রাণকেন্দ্র। |
রাঢ় | পশ্চিম বাংলার দক্ষিণাঞ্চল, বর্ধমান জেলা | পুরো অংশই বর্তমান ভারতের অন্তর্ভুক্ত। |
চন্দ্রদ্বীপ | বর্তমান বরিশাল |
প্রাচীন বাংলার মানচিত্র

আরও দেখুন: উপমহাদেশে ভ্রমণকারী গুরুত্বপূর্ণ পরিব্রাজক
সাম্রাজ্য
প্রাচীন বাংলার ধারাবাহিক ইতিহাস পাওয়া যায় মৌর্য যুগ থেকে। এর পূর্বে ইতিহাসের বিক্ষিপ্ত কিছু উপাদান পাওয়া যায় মাত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭-২৬ অব্দে গ্রিক বীর আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেন। গ্রিক লেখকরা উল্লেখ করেছেন সেসময় এদেশে গঙ্গারিডাই নামক এক শক্তিশালী জাতি বাস করত। এছাড়া প্রসিঅয় নামক অপর এক জাতি ছিল যাদের রাজধানী ছিল পলিবোথরা (পটালিপুত্র)। আলেকজান্ডারের ক্লান্ত সেনাবাহিনী গঙ্গা নদীর কাছাকাছি এসে বাংলার বিশাল বাহিনীর মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে যায়। এই বাহিনী বিপাশা নদীর কাছে বিদ্রোহ করে এবং আরও পূর্বদিকে যেতে অস্বীকার করে বসে। আলেকজান্ডার তখন তার সহকারী কইনাস (Coenus) এর সাথে দেখা করে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মৌর্য বংশ
মৌর্য সম্রাজ্যকে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সম্রাজ্য বলা হয়। কারণ এটিই ছিল প্রথম সর্বভারতীয় সম্রাজ্য। এটি লৌহযুগের একটি বিস্তীর্ণ সম্রাজ্য ছিল।
খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে বাংলার অধিকাংশ অঞ্চলই শক্তিশালী মগধ রাজ্যের অংশ ছিল। মগধ ছিল একটি প্রাচীন ভারতীয়-আর্য রাজ্য। মগধের কথা রামায়ণ এবং মহাভারতেও পাওয়া যায়। বুদ্ধের সময়ে এটি ছিল ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের মধ্যে একটি। বিহার এবং বাংলার অধিকাংশ স্থানই মগধের ভিতরে ছিল। নন্দ রাজবংশকে মগধ থেকে উচ্ছেদ করে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য বাংলায় মৌর্য বংশের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য মগধের সিংহাসনে আরোহনের মাধ্যমে মৌর্য সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম সম্রাট। তার রাজধানী ছিল পটালিপুত্র। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য তার প্রধানমন্ত্রী চাণ্যক্যের সহযোগীতায় বিশাল মৌর্য সম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন।
চাণ্যক্য: চাণ্যক্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী। তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘অর্থশান্ত্র’। রাজ্যশাসন ও কূটকৌশলের সমন্নয়ে রচিত গ্রন্থটি। এ গ্রন্থে তিনি কৌটিল্য নাম গ্রহণ করেন। তিনি আলেকজন্ডারের সেনাপতি সিউলকে পরাজিত করে উপমহাদেশ থেকে গ্রিকদের বিতারিত করেন।
সম্রাট অশোক
মৌর্য বংশের ৩য় ও শ্রেষ্ঠ সম্রাট। মৌর্য সাম্রাজ্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে ভারতের অধিকাংশ, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছিল। তার আমলে উত্তর বাংলা মৌর্যদের একটি প্রদেশে পরিণত হয় যার রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর।
সম্রাট অশোকের শাসনামলে কলিঙ্গের যুদ্ধে প্রায় এক লক্ষ লোক নিহত হন। যুদ্ধে জিতলেও সম্রাট অশোকের মনে যুদ্ধের ভয়াবহতা গভীর বেদনার রেখাপাত করে। কৃতকর্মের অনুসূচনায় তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন এবং বৌদ্ধধর্মকে বিশ্বধর্মের মর্যাদা লাভে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। তাকে বৌদ্ধধর্মের ক্যানস্টানটাইন বলা হয়।
গুপ্ত বংশ
গুপ্তযুগকে ভারতের স্বর্ণযুগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এ যুগে ভারতের শিল্পকলা ও স্থাপত্য অন্যন্য উচ্চতায় পৌঁছায়। শক্তিশালী গুপ্ত সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে উঠেছিল যা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাংশে, বাংলাদেশ ও সম্ভবত পাকিস্তানের কিছু অংশেও বিস্তার লাভ করেছিল। গুপ্ত রাজারা ছিলেন হিন্দু ধর্মের পৃষ্ঠোপষক। মহাকবি কালিদাস, বিজ্ঞানী আর্যভট্ট ও বাহারমিহির প্রভৃতি গুণী ব্যক্তির আবির্ভাব হয় গুপ্ত শাসনামলে। মহারাজা শ্রীগুপ্ত ছিলেন এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং রাজধানী ছিল পটালিপুত্র।
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
তিনি ছিলেন গুপ্ত বংশের প্রথম স্বাধীন সম্রাট। তাকে গুপ্ত সম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।
সমুদ্রগুপ্ত
গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা। তাকে প্রচীন ভারতের নেপোলিয়ন বলা হয়। তার আমলে সমতট ছাড়া বাংলার অন্যান্য জনপদ গুপ্ত সম্রাজ্যের অধীনে আসে।
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
তার উপাধি ছিল বিক্রমাদিত্য। তার দরবারে বহু গুণীজনের সমাবেশ ঘটেছিল যার মধ্যে প্রধান নয়জনকে ‘নবরত্ন’ বলা হয়।
৬ষ্ঠ শতকের প্রথমার্ধে বিশাল গুপ্ত সম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
গুপ্ত পরবর্তী যুগ
গুপ্ত শাসনের অবসান হলে বাংলায় দুটি স্বাধীন রাজ্যের সৃষ্টি হয়। যথা: বঙ্গ ও গৌড়।
বঙ্গ
এটি বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজ্য। দক্ষিণপূর্ব বাংলা ও পশ্চিম বাংলার দক্ষিণাঞ্চল ছিল এর অন্তর্গত।
গৌড়
শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেন গুপ্তের একজন মহাসামন্ত। গুপ্ত বংশের পতন হলে তিনি প্রাচীন বাংলার জনপদগুলো গৌড় নামে একত্রিত করেন। তিনি কর্ণসুবর্ণে গৌড়ের রাজধানী স্থাপন করেন। তার উপাধি ছিল রাজাধিরাজ। শশাঙ্ক ছিলেন প্রচীন বাংলার প্রথম সার্বভৌম শাসক / স্বাধীন রাজা।
শশাঙ্কের পর গৌড় রাজ্য দখল করেন হর্ষবর্ধন। তার সভাকবি ছিল বানভট্ট।
মাৎস্যন্যায়
শশাঙ্কের পর অরাজকতাপূর্ণ সময়কে (৭ম-৮ম শতক) বলে মাৎস্যন্যায়। পুকুরে বড় মাছগুলো শক্তির দাপটে ছোট ছোট মাছ ধরে খেয়ে ফেলার পরিস্থিতিকে বলে মাৎস্যন্যায়। ৭ম-৮ম শতক বাংলার সবল অধিপতিরা ছোট ছোট অঞ্চলগুলোকে গ্রাস করেছিল। ফলে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাৎস্যন্যায় প্রায় দেড়শো বছর স্থায়ী হয়। মূলত গুপ্ত ও পাল শাসনের মধ্যবর্তী যুগই মাৎস্যন্যায়।
পাল বংশ
পাল শাসন শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলায় মাৎস্যন্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। বাংলায় বংশানুক্রমিক শাসনের শুরু হয় পাল আমল থেকে। প্রায় চারশ বছর পাল বংশের রাজাগণ বাংলায় রাজত্ব করেছেন। পাল বংশ বাংলা শাসনকারী দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ। এ বংশের রাজারা ছিল বৌদ্ধ ধর্মাবলী।
গোপাল
পাল বংশের প্রথম রাজা / প্রতিষ্ঠাতা রাজা গোপাল।
ধর্মপাল
পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ধর্মপাল। তিনি নেপাল জয় করেন। নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত ‘সোমপুর বিহার’ ধর্মপালের শাসনামলের নিদর্শন।
দেবপাল
তার শাসনামলে পাল রাজ্যের সবচেয়ে বেশি বিস্তার হয়। রাজা দেবপালের পৃষ্ঠপোষকতায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে।
প্রথম মহীপাল
দিনাজপুরের মহীপাল দীঘি ও মুর্শিদাবাদের মহীপাল সাগর তৈরি করেন।
দ্বিতীয় মহীপাল
তার সময় কৈবর্ত বিদ্রোহ হয়। কৈবর্তরা বরেন্দ্র অঞ্চলের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়। বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে রাজা দ্বিতীয় মহীপাল কৈবর্তদের হাতে খুন হন।
রামপাল
কৈবর্তদের পরাজিত করে বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার করেন। তার জীবনী নিয়ে সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত গ্রন্থ ‘রামচরিত’।
মাদনপাল
পাল বংশের শেষ রাজা। তিনি সেন বংশের বিজয় সেনের কাছে পরাজিত হলে বাংলায় পাল শাসনামলের সমাপ্তি হয়। ১১২৪ খ্রিষ্ঠাব্দে পাল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটে।
সেন বংশ
সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সামন্ত সেন। তবে তিনি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নি। তাই তার ছেলে হেমন্ত সেন বংশের প্রথম রাজা হিসেবে পরিগণিত হন। সেনদের পূর্ব পুরুষরা দাক্ষিণাত্যের কর্ণাটকের অধিবাসী ছিলেন। সেন রাজারা ছিলেন হিন্দু ধর্মালম্বী।
বিজয় সেন
সেন বংশের সর্বপ্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন বিজয় সেন। বিজয় সেনের শাসনামলে বাংলা সর্বপ্রথম সেন শাসনাধীন হয়। তাকে সেন বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলা হয়। বিজয় সেনের প্রথম রাজধানী ছিল বিজয়পুর (হুগলি) এবং দ্বিতীয় রাজধানী ছিল বিক্রমপুরে (মুন্সিগঞ্জ)।
বল্লাল সেন
সমাজ সংস্কারে কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক বল্লাল সেন।
লক্ষণ সেন
সেন বংশের সর্বশেষ স্বাধীন রাজা লক্ষণ সেন। তিনি সেন রাজাদের মধ্যে গৌড়েশ্বর উপাধি ধারণ করেন। লক্ষণ সেন ছিলেন বৈষ্ণব ধর্মালম্বী। তার রাজধানী ছিল গৌড় ও নদীয়ায়।
ত্রয়োদশ শতকে সেন বংশের পতন ঘটে। লক্ষণ সেন ১২০৪ সালে তুর্কি বীর ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মাদ বখতিয়ার খলজির নিকট নদীয়া হারান। ফলে বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা হয়। লক্ষণ সেন এসময় বিক্রমপুরে আশ্রয় নেন। ১২০৬ সালে তার মৃত্যুর পর তার দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন (আনুমানিক ১২৩০ সাল পর্যন্ত) কিছুকাল পূর্ববঙ্গ শাসন করেন।
এক নজরে রাজবংশগুলো –
বংশ | শাসনামল | ধর্ম | প্রতিষ্ঠাতা | শ্রেষ্ঠ রাজা |
---|---|---|---|---|
মৌর্য বংশ | খ্রিস্টপূর্ব ৩২১-১৮৫ | চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য | সম্রাট অশোক | |
গুপ্ত বংশ | ৩২০-৫৫০ খ্রিস্টাব্দ | হিন্দু | মহারাজা শ্রীগুপ্ত। তবে প্রথম স্বাধীন রাজা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। | সমুদ্রগুপ্ত |
পাল বংশ | ৭৫৬-১১৬১ খ্রিস্টাব্দ | বৌদ্ধ | গোপাল | ধর্মপাল |
সেন বংশ | ১০৬১-১২০৪ খ্রিস্টাব্দ | হিন্দু | সামন্ত সেন; তবে প্রথম রাজা হেমন্ত সেন | বিজয় সেন |
বিভ্রান্তকর কিছু তথ্য এক নজরে-
- ভারতের প্রথম সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, গুপ্ত বংশের প্রথম স্বাধীন সম্রাট এবং প্রচীন বাংলার (অবিভক্ত বাংলা) প্রথম সার্বভৌম শাসক / স্বাধীন রাজা শশাঙ্ক।
- দ্বিতীয় মহীপালের সময় কৌবর্ত বিদ্রোহ হয় এবং রামপাল কৌবর্ত বিদ্রোহ দমন করেন।
- সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সামন্ত সেন কিন্তু প্রথম রাজা তার ছেলে হেমন্ত সেন।
- লক্ষণ সেনের পতনের পরও তার ছেলেরা কিছুকাল বাংলার কিছু অংশ শাসন করেন।
এই নোটটির পিডিএফ কপি দেওয়া যাবে? প্রিন্ট করার জন্য
উপরের Print বাটনে ক্লিক করার পর Destination থেকে Save as Pdf সিলেক্ট করুন। তারপর Save বাটনে ক্লিক করুন। এরপর যেখানে Save করতে চান সেই লোকেশন সিলেক্ট করে আবার Save বাটন ক্লিক করলে পোস্টটি Pdf আকারে আপনার সিলেক্ট করা লোকেশনে Save হয়ে যাবে। এভাবে এই ওয়েবসাইটের সকল পেজ Pdf আকারে Save করা যাবে। ভিডিও দেখুন: Save as Pdf