গভর্নরের শাসন
রবার্ট ক্লাইভ
১৭৫৭-১৭৬০
১৭৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে আলীনগর চুক্তি করেন।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ক্লাইভের নেতৃত্বে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং নবাব পরাজিত হন।
হেনরি ভেন্সিটার্ট
১৭৬০-১৭৬৪
বাংলার কৃষি পন্য বাণিজ্যিকীকরণে ভূমিকা রাখেন। তার সময় ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৬০-১৮০০) শুরু হয়।
রবার্ট ক্লাইভ
১৭৬৪-১৭৬৭
মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সাথে এলাহাবাদ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর ফলে ইংরেজরা বাংলা, বিহার, উরিষ্যার দিওয়ানি তথা রাজস্ব আদায় ক্ষমতা লাভ করে। এসময় বিচার ও শাসন ক্ষমতা ছিল নবাবের হাতে কিন্তু রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ছিল কোম্পানির হাতে। একে দ্বৈত শাসন বলা হয়।
জন কার্টিয়ার
১৭৬৯-১৭৭২
১৭৭০ সালে (বাংলা ১১৭৬ সাল) ছিয়াত্তরের মন্বন্তর দেখা দেয় যাতে প্রায় এক কোটি মানুষ মারা যায়।
ওয়ারেন হেস্টিংস
১৭৭২-১৭৭৪
দ্বৈত শাসন বাতিল করেন। তিনি কলকাতাকে কোম্পানি শাসনের রাজধানী করেন এবং পাঁচশালা বন্দোবস্ত চালু করেন।
গভর্নর জেনারেলের শাসন
ওয়ারেন হেস্টিংস
১৭৭৪-১৭৮৫
উপমহাদেশের প্রথম রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। তার সময় সিভিল সার্ভিস এক্ট – ১৭৮৪ পাশ হয়। তার আমলেই এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় (১৭৮৪)।
লর্ড কর্নাওয়ালিশ
১৭৮৬-১৭৯৩
তাকে ভারতে সিভিল সার্ভিসের জনক বলা হয়। তিনি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন (১৭৯৩)।
লর্ড ওয়েলেসলি
১৭৯৯-১৮০৫
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির মাধ্যমে ইংরেজরা বেশ কিছু রাজ্যের স্বাধীনতা হরন করে। টিপু সুলতান এ নীতি মানতে অস্বীকার করলে ১৭৯৯ সালে ইংরেজদের সাথে চতুর্থ মহীশূরের যুদ্ধে নিহত হন।
তিতুমীরের বিদ্রোহ
১৮২৭ (থেকে ১৮৩১)
হজ্জ্ব পালন শেষে বাংলায় এসে বারাসাত বিদ্রোহ শুরু করেন মীর নিসার আলী তিতুমীর। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে তিতুমীরই প্রথম অস্ত্র ধারণ করেন। তিনি চব্বিশ পরগণা, নদীয়া ও ফরিদপুরের কিছু অংশ নিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক
১৮২৮-১৮৩৩
সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধকরণ আইন-১৮২৯ প্রণয়ন করেন।
তিতুমীর নাড়িকেলবাড়িয়ায় বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন (১৮৩১)। তার বাঁশের কেল্লা সামরিক প্রধান ছিলেন গোলাম মাসুম ওরফে মাসুম খাঁ। বেন্টিংকের নির্দেশে কর্নেল স্টুয়ার্ট বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করেন। এতে কেল্লা ধ্বংস হয়ে যায় এবং তিতুমীর শহিদ হন (১৮৩১)।
এরপর ভারতের কেন্দ্রীয় ইংরেজ শাসকদের অধীনে বাংলা শাসিত হতে থাকে।
ভারতে (বাংলা সহ) গভর্নর জেনারেলের শাসন
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক
১৮৩৩-১৮৩৫
বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদ সৃষ্টি করেন।
উচ্চ আদালতে ইংরেজি ব্যবহার প্রবর্তন করেন। সরকারি অফিসেও ফার্সির পরিবর্তে ইংরেজি চালু করেন।
লর্ড ডালহৌসি
১৮৪৮-১৮৫৬
প্রথম টেলিগ্রাফ লাইন স্থাপিত (১৮৫০) হয় এবং ডাকটিকেট চালু হয় (১৮৫৪)।
বিধবা বিবাহ আইন প্রণয়ন করেন (১৮৫৬) এবং স্বত্ববিলোপ নীতি প্রবর্তন করেন।
লর্ড ক্যানিং
১৮৫৬-১৮৫৮
সিপাহী বিদ্রোহ দমন করেন।
সিপাহী বিদ্রোহের কারণে কোম্পানির কাছ থেকে শাসনক্ষমতা ইংল্যান্ডের রানির হাতে হস্তান্তর করা হয়।
ভারতে (বাংলা সহ) গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয়ের শাসন
লর্ড ক্যানিং
১৮৫৮-১৮৬২
পুলিশ প্রশাসন ও কাগজী মুদ্রা চালু করা হয়। এসময় নীল বিদ্রোহ (১৮৫৯-১৮৬২) শুরু হয়।
স্যার জন লরেন্স
১৮৬৪-১৮৬৯
প্রতিনিধিত্বশীল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকা পৌরসভা গঠন করেন।
লর্ড মেয়ো
১৮৬৯-১৮৭২
একমাত্র ভাইসরয় যিনি খুন হন।
আদমসুমারি চালু করেন (১৮৭২)।
লর্ড রবিনসন রিপন
১৮৮০-১৮৮৪
ভারতের স্থানীয় স্বাযত্তশাসনের জনক।
প্রশাসনে ভারতীয়দের নিয়োগে ‘ইলবার্ট বিল’ পাশ হয়।
লর্ড ডাফরিন
১৮৮৪-১৮৮৮
বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন (১৮৮৫) পাশ করেন।
লর্ড জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন
১৮৯৯-১৯০৫
বঙ্গভঙ্গ করেন (১৯০৫)।
লর্ড মিন্টো
১৯০৫-১৯১০
Indian Council Act সংস্কার করেন। ফলে মুসলমানরা পৃথক নির্বাচনের স্বীকৃতি লাভ করে।
লর্ড হার্ডিঞ্জ
১৯১০-১৯১৬
বঙ্গভঙ্গ রদ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নাথান কমিশন গঠন করেন (১৯১২)।
লর্ড চেমসফোর্ড
১৯১৬-১৯২১
১৯১৯ সালে ভারত শাসন আইন প্রণয়ন করেন। ফলে উপমহাদেশের সকল পুরুষগণ ভোটাধিকার লাভ করেন।
লর্ড রিডিং
১৯২১-১৯২৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
লর্ড উইলিংডন
১৯৩১-১৯৩৬
ভারত শাসন আইন-১৯৩৫ প্রণয়ন করা হয়।
লর্ড লিনলিথগো
১৯৩৬-১৯৪৩
প্রথম প্রাদেশিক নির্বাচন (১৯৩৭) অনুষ্ঠিত হয়।
লর্ড ওয়াভেল
১৯৪৩-১৯৪৭
১৯৪৩ সালে ( বা বাংলা ১৩৫০ সালে) দুর্ভিক্ষ হয়। এটি পঞ্চাশের মন্বন্তর নামে পরিচিত।
লর্ড মাউন্টব্যাটেন
১৯৪৭
ভারত বিভাগের সময় ভারতের ভাইসরয় ছিলেন। তিনিই ভারতের সর্বশেষ ভাইসরস ও স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল।