মালঞ্চ (সংক্ষিপ্ত কাহিনী)

Estimated Reading Time: 6 Minutes

উপন্যাস, রচয়িতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর;এটি একটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। উল্লেখযোগ্য চরিত্র: নীরজা, আদিত্য, সরলা।

নীরজা আদিত্যের স্ত্রী, দশ বছর সুখে দাম্পত্যজীবন অতিবাহিত করেছে তারা। একসময় নীরজা সন্তানসম্ভবা হয় কিন্তু প্রসবকালে তার সন্তান মারা যায় এবং নীরাজা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আদিত্যের ফুলের ব্যবসা ছিল। নীরাজ পূর্বে স্বামীর ফুলে ব্যবসাতে অনেক সহায়তা করত কিন্তু এখন আর সাহায্য করতে পারে না। এসময় আদিত্যের দূরসম্পর্কের বোন সরলা আসে তার কাজে সাহায্য করতে। একসময় সরলা ও আদিত্য পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে আদিত্য নিজের স্ত্রীর ব্যপারে উদাসীন হয়ে পরে। দিন দিন নীরজার প্রতি আদিত্যের অবহেলা স্পষ্ট হতে থাকে। আদিত্য নীরজার সেবাযত্নের জন্য নিজে না এসে তার খুড়তুতো ভাই রমেনকে পাঠাতে থাকে। নীরজা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সরলার সঙ্গে রমেনের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। নীরজা মনে করেছিল বিয়ে হয়ে গেলে হয়ত এমনটা হবে না। কিন্তু সে সফল হয়নি। একদিন আদিত্যের অবহেলা সহ্য করতে না পেরে নীরজা আদিত্যের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে বাড়ি থেকে চলে যায় আদিত্য। অন্যদিকে বিবেকের তাড়নায় আদিত্যের কাছ থেকে সরে যাওয়ার কথা ভাবে সরলা। একদিন আদিত্য সরলাকে স্মরণ করে নীরজাকে চিঠি লেখে যেখানে সরলার প্রতি আদিত্যের অনুরাগের প্রকাশ ছিল। তীব্র কষ্টে নীরজা আশ্রয় নেয় ঠাকুরঘরে যাতে কষ্টের পরিমান কিছুটা কমে তার। একদিন আদিত্যের ফিরে আসার খবর পেয়ে রমেনের মাধ্যমে সরলাকে ডেকে আনে সে এবং সরলাকে নিজের গয়না পরিয়ে দেয়। কিন্তু বিবেকের তাড়নায় সরলা একটি চুরির অভিযোগ মাথায় নিয়ে কারাবরণ করে এবং চলে যায় দু জনের জীবন থেকে। আদিত্য আবার ফিরে আসে নীরজার জীবনে। কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি উপন্যাস। কিছুদিন পরে খালাস পেয়ে ফিরে আসে সরলা। সরলাকে দেখে রাগে দুঃখে কষ্টে ভেঙে পড়ে নীরজা, সহ্য করতে পারে না সে এবং তক্ষুনি মৃত্যু হয় তার। এভাবে এ বিয়োগান্ত উপন্যাসটির পরিসমাপ্তি ঘটে।

Leave a Reply