শব্দ

Estimated Reading Time: 35 Minutes

এক বা একাধিক বর্ণ বা ধ্বনি মিলিত হয়ে যদি কোন অর্থ প্রকাশ করে তবে তাকে শব্দ বলে। অর্থ্যাৎ অর্থ শব্দের একটি অত্যাবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্য। অর্থ প্রকাশিত না হলে কোন ধ্বনিই শব্দ হিসেবে গণ্য হয় না। সহজভাষায়,অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে শব্দ বলা হয়।

শব্দের প্রকারভেদকে প্রধানত ৩ শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা:

  • গঠন অনুসারে
  • অর্থ অনুসারে
  • উৎপত্তি অনুসারে

গঠন অনুসারে শব্দ

গঠনের অনুযায়ী শব্দকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

  • মৌলিক শব্দ
  • সাধিত শব্দ

মৌলিক শব্দ: যে শব্দগুলোকে বিশ্লেষণ করা যায় না এবং যেসব শব্দ স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশে সক্ষম তাদের মৌলিক শব্দ বলে। যেমন: গোলাপ, তিন, হাত, মুখ, ফুল, লাল, কালো, নাক, বই ইত্যাদি।

সাধিত শব্দ: মৌলিক শব্দ বা ধাতু প্রকৃতির সঙ্গে উপসর্গ বা প্রত্যয় যোগে যেসব শব্দ গঠিত হয় তাদের সাধিত শব্দ বলা হয়। অর্থ্যাৎ সাধিত শব্দকে বিশ্লেষণ করা যায়। যেমন: পরাজয় (পরা উপসর্গ যোগে গঠিত), পড়ন্ত, গরমিল ইত্যাদি।

অর্থ অনুসারে শব্দ

অর্থ অনুসারে শব্দকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

  • যৌগিক শব্দ
  • রূঢ়ি শব্দ
  • যোগরূঢ় শব্দ

যৌগিক শব্দ: যেসব শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয় যোগে গঠিত হয় এবং প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ করলে যে সকল শব্দের অর্থ পাওয়া যায় তাদের যৌগিক শব্দ বলে। অর্থ্যাৎ যৌগিক শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই। যেমন: গৈ + অক = গায়ক, কৃ + তব্য = কর্তব্য, দৌহিত্র, মিতালী, মধুর, স্নাতক ইত্যাদি।

রূঢ়ি শব্দ: যে সকল প্রত্যয় নিস্পন্ন বা উপসর্গযুক্ত শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয়জাত অর্থ প্রকাশ না করে জনসমাজে প্রচলিত পৃথক অর্থ বোঝায় তাদেরকে রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন: হস্তী = হস্ত + ইন, অর্থ- হস্ত আছে যার, কিন্তু হস্তী বলতে হাতিকে বোঝায়। অনুরূপভাবে, হরিণ (হরণ করেছে, কিন্তু হরিণ বলতে নির্দিষ্ট প্রাণীকে বোঝায়), গবেষণা = গো + এষণা (গরু খোজা, কিন্তু ব্যবহারিক অর্থ প্রচুর অধ্যয়ন), বাঁশি, তৈল, প্রবীণ, সন্দেশ, শুশ্রুষা, রাখাল ইত্যাদি।

মনে রাখার কৌশল
প্রবীণ তৈল গবেষণায় সন্দেশ বানিয়ে বাঁশি বাজিয়ে হস্তীহরিণ খোজে

যোগরূঢ় শব্দ: সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অর্থের অনুগামী না হয়ে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে যোগরূঢ় শব্দ বলে। যেমন: পঙ্কজ = পঙ্কে জন্মে যা; পঙ্কে জন্মে অনেককিছুই কিন্তু পঙ্কজ বলতে পদ্মফুলকে বোঝায়; অনুরূপভাবে সরোজ, জলধি, রাজপুত, মহাযাত্রা , তুরঙ্গম, সুহৃদ, অসুখ ইত্যাদি।

মনে রাখার কৌশল
অসুখ রাজপুত সুহৃদ তুরঙ্গমসহ পঙ্কজসরোজসমৃদ্ধ জলধিতে মহাযাত্রা করল।

উৎস অনুসারে শব্দ

উৎস অনুসারে শব্দকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

  • তৎসম
  • তদ্ভব শব্দ
  • দেশি শব্দ
  • বিদেশি শব্দ

উল্লেখ্য নতুন বাংলা ব্যাকরণে অর্ধ-তৎসম শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে।

তৎসম শব্দ

তৎসম শব্দগুলো সংস্কৃত ভাষা থেকে কোন পরিবর্তন ছাড়াই বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। তৎসম একটি পারিভাষিক (সংস্কৃত) শব্দ। তৎ অর্থ তার এবং সম অর্থ সমান। অর্থ্যাৎ তৎসম অর্থ সংস্কৃতের সমান। উদাহরণ-

চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মানুষ্য, জীবন, মস্তক, বঙ্কিম, অন্ন, বস্ত্র, গৃহ, অঞ্চল, হস্তী, অশ্ব, কর্ম, বায়ু, অরণ্য, পদ, বৃক্ষ, বস্তু, ভোজন, অদ্য, কল্য, অম্লান, পুষ্প, লতা, দন্ত্য, কর্ণ, নাসিক্য, মাতৃ, পিতৃ, দধি, ভক্তি, কৃষ্ণ, লাভ, ক্ষতি, মুক্তি, শক্তি, বিমান ইত্যাদি।

তৎসম শব্দ মনে রাখার উপায়

  • ণ, ষ, ক্ষ, হ্ম, ষ্ণ যুক্ত শব্দগুলো সাধারণত তৎসম শব্দ হয়।
  • তৎসম উপসর্গ বা প্রত্যয় দ্বারা গঠিত শব্দগুলো তৎসম শব্দ।
  • ক্রমবাচক শব্দগুলো তৎসম শব্দ। যেমন: প্রথম, দ্বিতীয় ইত্যাদি।
  • যুক্ত বর্ণের অধিকাংশ শব্দই তৎসম শব্দ।

অর্ধ-তৎসম শব্দ

অর্ধ-তৎসম শব্দ সংস্কৃত থেকে কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। (উল্লেখ্য বর্তমান ৯-১০ শ্রেণীর বইয়ে এর উল্লেখ নেই)

তৎসম বা সংস্কৃতঅর্ধ-তৎসম
জ্যোৎস্নাজোছনা
শ্রাদ্ধছেরাদ্ধ
শ্রীছিরি
গৃহিণীগিন্নি
ঔষধওষুদ
বৈষ্ণববোষ্টম
ক্ষুধাক্ষিধে
বৃষ্টিবিষ্টি

তদ্ভব শব্দ

তদ্ভব শব্দগুলো ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তনের ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এ শব্দগুলোকে খাটি বাংলা শব্দও বলা হয়। তদ্ভব একটি পারিভাষিক শব্দ। তৎ অর্থ তার এবং ভব অর্থ উৎপন্ন। অর্থ্যাৎ তদ্ভব অর্থ তার (সংস্কৃত) থেকে উৎপন্ন।

সংস্কৃতপ্রাকৃততদ্ভব
হস্তহত্থহাত
চর্মকারচম্মআরচামার
ঘৃতঘিঅঘি
চন্দ্রচন্দচাঁদ
পাদপাঅপা
মাতামাআমা
কর্ণকন্নকান
মস্তকমস্থকমাথা

দেশি শব্দ

বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ব্যবহৃত শব্দগুলোকে দেশি শব্দ বলা হয়। যেমন: কুড়ি (কোল ভাষা), পেট (তামিল ভাষা), চুলা (মুন্ডারি ভাষা), কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডোবা, ডিঙ্গা, ডাগর, ঢ়েঁকি, টেংরা ইত্যাদি।

বিদেশি শব্দ

বাংলায় আগত বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বহু শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এগুলোকে বিদেশী ভাষা বলে। উল্লেখযোগ্য বিদেশী ভাষা হল – আরবি, ফারসি, পর্তুগিজ, ইংরেজি, ওলন্দাজ ইত্যাদি। (মোটা অক্ষরে লেখাগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ)

ফারসিখোদা, গুনাহ, দোযখ, নামায, রোযা, পযগম্বর, ফেরেস্তা, বেহেশত,
আইন, অছিয়তনামা, দরবার, বাদশাহ, বাহাদুর, জমিদার, তখত, জায়নামাজ, ঈদগাহ, খনকাহ, ফেরেস্তা, কাগজ, আতশবাজী, চশমা, জবানবন্দি, তারিখ, দফতর, দোকান, দস্তখত, আমদানি, রপ্তানি, বারান্দা, হাঙ্গামা, আলু, একতারা, একটা, দোতারা, সেতারা, ওস্তাদ, কামান, কারিগর, কারখানা, খুচরা, গ্রেপ্তার, চাঁদা, চেহারা, জামা, জামদানি, তরমুজ, তোষামদ, দরজা, দালান, পাইকারী, সরকার, সাদা, সবুজ, বরখাস্ত, শাবাশ, রসিদ, রসদ, হাজার, সুদ, সুপারিশ ইত্যাদি।
আরবিআল্লাহ, ইসলাম, ইমান, ওজু, কোরবানি, কুরআন, কিয়ামত, গোসল, জান্নাত, জাহান্নাম, তওবা, তসবি, যাকাত, হজ, হাদিস, হারাম, হালাল, আলেম, ইনসান, ঈদ, ওজর, এলেম।
আদালত, উকিল, এজলাস, কানুন, খারিজ, রায়, কাজী/কাজি (বিচারক), কেচ্ছা, গায়েব, মুন্সফ, মোক্তার, মহকুমা, কলম, কিতাব, দোয়াত, নগদ, বাকি ইত্যাদি।
পর্তুগিজআনারস, আতা, আলপিন, পাউরুটি, চাবি, কফি, কেরানি, গাঁদা, গির্জা, গোলাপ, গরাদ, আলকাতরা, আচার, আলমারি, আয়া, বেহালা, বোতাম, বোমা, বালতি, বন্দর, মিস্ত্রি, নিলাম, পেঁপে, পিস্তল, পেরেক, ক্রুশ, পাদ্রি, যিশু, পেয়ারা, কামরাঙা, কপি, তোয়ালে, গুদাম, তামাক, সাবান, সাবু, টুপি, ফিরিঙ্গি, ইংরেজ ইত্যাদি।
তুর্কিবাবা, উজবুক, উর্দু, কঞ্চি, কুর্নিশ, খাঁ, খান, চারু, ঠাকুর, দারোগা, বন্দুক, বাবুর্চি, বেগম, মোঘল, লাশ, সওগত, কাঁচি, কুলি, চাকর, চাকু, মুচলেকা ইত্যাদি।
ফরাসিকার্তুজ, কুপন, ডিপো, রেস্তরা, ক্যাফে, বুর্জোয়া, গ্যারেজ, এলিট, ওলন্দাজ, মেনু, বুফে, পিজা, বিস্কুট, আঁশ, আঁতত, ম্যাটিনি, রেনেসাঁ, দিনেমার ইত্যাদি।
ওলন্দাজহরতন, ইস্কাপন, টেককা, তুরুপ, রুইতন।
গুজরাটিখদ্দর, হরতাল
চীনাচা, চিনি, লিচু, এলাচি, তুফান, সাম্পান ইত্যাদি।
জাপানিরিক্সা, হারিকিরি, প্যাগোডা, জুডো, হাসনাহেনা
ইতালিয়ানসনেট, ফ্যাসিস্ট, মাফিয়া ইত্যাদি।
হিন্দিপানি, টহল, বাচ্চা, চানাচুর, মিঠাই, কাহিনি, বার্তা, খানাপিনা, দাদা, নানা ইত্যাদি।
বার্মিলুঙ্গি, ফুঙ্গি
গ্রিকদাম, কেন্দ্র, সুরঙ্গ
জার্মানকিন্ডারগার্ডেন
মেক্সিকানচকলেট
পাঞ্জাবিচাহিদা
তামিলচুরুট
পেরুকুইনাইন

শব্দ মনে রাখার কৌশল-

  • রাজ্য/প্রশাসন সম্পর্কিত বিদেশি শব্দগুলো অধিকাংশই ফারসি শব্দ। যেমন: সরকার, বাদশাহ, বাহাদুর, দরবার, তখত। মহকুমা আরবি শব্দ।
  • আদালত সম্পর্কিত শব্দগুলো অধিকাংশই আরবি শব্দ। ব্যতিক্রম হচ্ছে আইন, অছিয়তনামা, জবানবন্দি। এগুলো ফারসি শব্দ। উল্লেখ্য আইন ফারসি কিন্তু কানুন আরবি শব্দ।
  • কলম, কিতাব, দোয়াত আরবি শব্দ কিন্তু কাগজ ফারসি শব্দ।
  • ইদ/ঈদ আরবি শব্দ কিন্ত ইদগাহ/ঈদগাহ ফারসি শব্দ।
  • ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত শব্দ: অধিকাংশই ফারসি শব্দ। যেমন- আমদানি, রপ্তানি, পাইকারি, খুচরা, রসিদ, কারখানা, দোকান। তবে নগদ, বাকি আরবি শব্দ, দাম গ্রিক শব্দ, চাহিদা পাঞ্জাবি শব্দ ও নিলাম পর্তুগিজ শব্দ। লাভ, ক্ষতি তৎসম শব্দ।
  • অফিস সম্পর্কিত শব্দ: দফতর, দস্তখত, বরখাস্ত ফারসি শব্দ। কেরানি পর্তুগিজ শব্দ।
  • পুলিশ সম্পর্কিত শব্দ: গ্রেপ্তার ফারসি শব্দ। পিস্তল পর্তুগিজ শব্দ। দারোগা, মুচলেকা তুর্কি শব্দ। টহল হিন্দি শব্দ।
  • খাদ্য সম্পর্কিত শব্দ: আলু, তরমুজ ফারসি শব্দ। আনারস, পাউরুটি, কফি, আচার, পেঁপে, পেয়ারা, কামরাঙ্গা, কপি, তামাক, আতা পুর্তুগিজ শব্দ। মেনু, বুফে, পিজা, বিস্কুট ফরাসি শব্দ। চা, চিনি, লিচু, এলাচি চীনা শব্দ। পানি, চানাচুর, মিঠাই, খানাপিনা হিন্দি শব্দ। চকলেট মেক্সিকান শব্দ। বাবুর্চি তুর্কি শব্দ।
  • অন্ত্র সম্পর্কিত শব্দ: কামান ফারসি শব্দ। পিস্তল পর্তুগিজ শব্দ। চাকু, বন্দুক তুর্কি শব্দ। কার্তুজ ফরাসি শব্দ।
  • আত্মীয়বাচক শব্দগুলো অধিকাংশই হিন্দি। যেমন- ভাই, বোন, মামা, মামি, দাদা, দাদি, চাচা, চাচি, ফুফা ইত্যাদি। তবে মা তদ্ভব শব্দ, বাবা তুর্কি শব্দ এবং খালা আরবি শব্দ।
  • জাতিবাচক শব্দ: ইংরেজ পর্তুগিজ শব্দ। মোঘল তুর্কি শব্দ। ওলন্দাজ ফরাসি শব্দ।
  • একতারা, দোতারা, সেতারা ফারসি শব্দ কিন্তু বেহালা পর্তুগিজ শব্দ।
  • বায়ু তৎসম শব্দ; বাতাস, আকাশ তদ্ভব শব্দ।

মিশ্র শব্দ

আইনজীবীফারসি + আরবি
রাজাবাদশাতৎসম + ফারসি
হাটবাজারবাংলা + ফারসি
শাকসবজিতৎসম + ফারসি
মিনতিসংস্কৃত + আরবি
খ্রিস্টাব্দইংরেজি + তৎসম
কালিকলমবাংলা + আরবি
চৌহদ্দিফারসি + আরবি
তাজমহলফারসি + আরবি

বাংলায় বিভিন্ন শব্দের অনুপাত

  • তৎসম শব্দ – ২৫%
  • অর্ধ-তৎসম শব্দ – ০৫%
  • তদ্ভব শব্দ – ৬০%
  • দেশি শব্দ – ০২%
  • বিদেশি শব্দ – ০৮%

নতুন শব্দ গঠন

বাংলা ভাষার নতুন শব্দগুলো নানা উপায়ে গঠিত হয়ে থাকে। নিচে শব্দ গঠনের উল্লেখযোগ্য উপায়গুলো দেওয়া হলো:

  • শব্দের মূল অংশকে বলা হয় শব্দমূল। শব্দমূল বা প্রকৃতির পূর্বে উপসর্গ বা পরে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়।
  • একাধিক পদ একপদে পরিণত হয়ে বা সমাসবদ্ধ হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: আমি, তুমি ও সে = আমরা।
  • শব্দের দ্বৈত ব্যবহারে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: ঠকঠক।
  • ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ‘কার’ বা ‘ফলা’ যোগ করে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: ম + া (আকার) =   মা।
  • সন্ধির সাহায্যে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়।
  • শব্দের শেষে বিভক্তি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: কল + এর = কলের।
  • পদ পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: মূল (বিশেষ্য) > মৌলিক (বিশেষণ)।
  • ধ্বন্যাত্মক শব্দের মাধ্যমে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন : কনকন।

উল্লেখ্য শব্দের অংশ উপসর্গ ও প্রত্যয়। অপরদিকে পদের অংশ বিভক্তি, নির্দেশক, বচন ও বলক।

43

শব্দ

বিগত সালের প্রশ্ন

1 / 33

'বাবা' কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?

2 / 33

পর্তুগিজ ভাষা থেকে নিম্নোক্ত একটি শব্দ বাংলা ভাষায় আত্মীয়করণ করা হয়েছে-

3 / 33

'লুঙ্গি' কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?

4 / 33

'আনারস' শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?

5 / 33

কোনটি দেশি শব্দ?

6 / 33

'পর্তুগিজ' ভাষার শব্দ নয় কোনটি?

7 / 33

'হরতাল' শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?

8 / 33

'সনদ' শব্দটি কোন ভাষার?

9 / 33

বাংলা ভাষার শব্দ সম্ভারকে কয়টি ভাগে ভাহ করা হয়েছে?

10 / 33

কোনটি তদ্ভব শব্দ?

11 / 33

ব্যাকরণ শব্দটি হলো-

12 / 33

'মিনতি' শব্দটি যে শব্দযোগে তৈরি হয়েছে -

13 / 33

'মর্সিয়া' শব্দের উৎস কোন ভাষা?

14 / 33

'আদালত' কোন ভাষার শব্দ?

15 / 33

'দোসরা' তারিখ জ্ঞাপক সংখ্যাটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?

16 / 33

'ইংরেজি' শব্দটি কোন ভাষা থেকে নেওয়া?

17 / 33

খ্রিস্টাব্দ শব্দটি-

18 / 33

'কাঁচি' কোন ধরনের শব্দ?

19 / 33

'ভাত' কোন ভাষার শব্দ?

20 / 33

খাঁটি বাংলা শব্দ কোনটি?

21 / 33

উৎপত্তি অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

22 / 33

'পেয়ারা' কোন ভাষা থেকে আগত?

23 / 33

'পরশ্ব' শব্দটির অর্থ কী?

24 / 33

কোনটি ইংরেজী শব্দ?

25 / 33

গ্রিক শব্দ কোনটি?

26 / 33

'হেড মৌলভী' কোন ভাষার শব্দ যোগে গঠিত হয়েছে?

27 / 33

'গিন্নি' কোন শ্রেণীর শব্দ?

28 / 33

কোনটি তৎসম শব্দ?

29 / 33

'কুইনাইন' কোন ভাষার শব্দ?

30 / 33

কোনটি মৌলিক শব্দ?

31 / 33

'রিক্সা' কোন ভাষার শব্দ?

32 / 33

'নামাজ', 'রোজা' কোন ভাষার শব্দ?

33 / 33

'চৌ-হদ্দি' শব্দটি কোন ভাষার শব্দ মিলে হয়েছে?

Your score is

The average score is 68%

0%

আরও দেখুন-

গুরুত্বপূর্ণ লিখিত প্রশ্ন

শব্দগঠন বলতে শব্দ তৈরি করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। শব্দ হল অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি। যে যে প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠিত হয়-

  • প্রত্যয় যোগে: শব্দ বা ধাতুর পরে নতুন শব্দ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: √চল্+অন্ত=চলন্ত।
  • উপসর্গ যোগে: শব্দের পূর্বে উপসর্গ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: অ + কাল = অকাল।
  • সমাসের মাধ্যমে: একাধিক পদ মিলিত হয়ে একপদে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।
  • সন্ধির মাধ্যমে: দুটি ধ্বনি মিলিত হয়েও নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: আলো + এ = আলোয়।
  • পদ পরিবর্তনের মাধ্যমে: পদ পরিবর্তিত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: মূল (বিশেষ্য) – মৌলিক (বিশেষণ)
  • দ্বিরুক্ত শব্দের মাধ্যমে: একই শব্দ দুইবার উচ্চারিত হয়ে মূল শব্দের ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করার মাধ্যমে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: শন শন, বছর বছর ইত্যাদি।

যে শব্দ বিশ্লেষণ করা যায় তাই সাধিত শব্দ। সাধিত শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া-

  • উপসর্গযোগে
  • প্রত্যয়যোগে
  • সমাসের মাধ্যমে

আরও পোস্ট

Leave a Reply