এক বা একাধিক বর্ণ বা ধ্বনি মিলিত হয়ে যদি কোন অর্থ প্রকাশ করে তবে তাকে শব্দ বলে। অর্থ্যাৎ অর্থ শব্দের একটি অত্যাবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্য। অর্থ প্রকাশিত না হলে কোন ধ্বনিই শব্দ হিসেবে গণ্য হয় না। সহজভাষায়,অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টিকে শব্দ বলা হয়।
শব্দের প্রকারভেদকে প্রধানত ৩ শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা:
- গঠন অনুসারে
- অর্থ অনুসারে
- উৎপত্তি অনুসারে
গঠন অনুসারে শব্দ
গঠনের অনুযায়ী শব্দকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
- মৌলিক শব্দ
- সাধিত শব্দ
মৌলিক শব্দ: যে শব্দগুলোকে বিশ্লেষণ করা যায় না এবং যেসব শব্দ স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশে সক্ষম তাদের মৌলিক শব্দ বলে। যেমন: গোলাপ, তিন, হাত, মুখ, ফুল, লাল, কালো, নাক, বই ইত্যাদি।
সাধিত শব্দ: মৌলিক শব্দ বা ধাতু প্রকৃতির সঙ্গে উপসর্গ বা প্রত্যয় যোগে যেসব শব্দ গঠিত হয় তাদের সাধিত শব্দ বলা হয়। অর্থ্যাৎ সাধিত শব্দকে বিশ্লেষণ করা যায়। যেমন: পরাজয় (পরা উপসর্গ যোগে গঠিত), পড়ন্ত, গরমিল ইত্যাদি।
অর্থ অনুসারে শব্দ
অর্থ অনুসারে শব্দকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
- যৌগিক শব্দ
- রূঢ়ি শব্দ
- যোগরূঢ় শব্দ
যৌগিক শব্দ: যেসব শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয় যোগে গঠিত হয় এবং প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ করলে যে সকল শব্দের অর্থ পাওয়া যায় তাদের যৌগিক শব্দ বলে। অর্থ্যাৎ যৌগিক শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই। যেমন: গৈ + অক = গায়ক, কৃ + তব্য = কর্তব্য, দৌহিত্র, মিতালী, মধুর, স্নাতক ইত্যাদি।
রূঢ়ি শব্দ: যে সকল প্রত্যয় নিস্পন্ন বা উপসর্গযুক্ত শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয়জাত অর্থ প্রকাশ না করে জনসমাজে প্রচলিত পৃথক অর্থ বোঝায় তাদেরকে রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন: হস্তী = হস্ত + ইন, অর্থ- হস্ত আছে যার, কিন্তু হস্তী বলতে হাতিকে বোঝায়। অনুরূপভাবে, হরিণ (হরণ করেছে, কিন্তু হরিণ বলতে নির্দিষ্ট প্রাণীকে বোঝায়), গবেষণা = গো + এষণা (গরু খোজা, কিন্তু ব্যবহারিক অর্থ প্রচুর অধ্যয়ন), , , , , , ইত্যাদি।
মনে রাখার কৌশল
প্রবীণ তৈল গবেষণায় সন্দেশ বানিয়ে বাঁশি বাজিয়ে হস্তী ও হরিণ খোজে
যোগরূঢ় শব্দ: সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অর্থের অনুগামী না হয়ে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে যোগরূঢ় শব্দ বলে। যেমন: পঙ্কজ = পঙ্কে জন্মে যা; পঙ্কে জন্মে অনেককিছুই কিন্তু পঙ্কজ বলতে পদ্মফুলকে বোঝায়; অনুরূপভাবে , , , , , ইত্যাদি।
মনে রাখার কৌশল
অসুখ রাজপুত সুহৃদ তুরঙ্গমসহ পঙ্কজ–সরোজসমৃদ্ধ জলধিতে মহাযাত্রা করল।
উৎস অনুসারে শব্দ
উৎস অনুসারে শব্দকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
- তৎসম
- তদ্ভব শব্দ
- দেশি শব্দ
- বিদেশি শব্দ
উল্লেখ্য নতুন বাংলা ব্যাকরণে অর্ধ-তৎসম শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে।
তৎসম শব্দ
তৎসম শব্দগুলো সংস্কৃত ভাষা থেকে কোন পরিবর্তন ছাড়াই বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। তৎসম একটি পারিভাষিক (সংস্কৃত) শব্দ। তৎ অর্থ তার এবং সম অর্থ সমান। অর্থ্যাৎ তৎসম অর্থ সংস্কৃতের সমান। উদাহরণ-
চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মানুষ্য, জীবন, মস্তক, বঙ্কিম, অন্ন, বস্ত্র, গৃহ, অঞ্চল, হস্তী, অশ্ব, কর্ম, বায়ু, অরণ্য, পদ, বৃক্ষ, বস্তু, ভোজন, অদ্য, কল্য, অম্লান, পুষ্প, লতা, দন্ত্য, কর্ণ, নাসিক্য, মাতৃ, পিতৃ, দধি, ভক্তি, কৃষ্ণ, লাভ, ক্ষতি, মুক্তি, শক্তি, বিমান ইত্যাদি।
তৎসম শব্দ মনে রাখার উপায়
- ণ, ষ, ক্ষ, হ্ম, ষ্ণ যুক্ত শব্দগুলো সাধারণত তৎসম শব্দ হয়।
- তৎসম উপসর্গ বা প্রত্যয় দ্বারা গঠিত শব্দগুলো তৎসম শব্দ।
- ক্রমবাচক শব্দগুলো তৎসম শব্দ। যেমন: প্রথম, দ্বিতীয় ইত্যাদি।
- যুক্ত বর্ণের অধিকাংশ শব্দই তৎসম শব্দ।
অর্ধ-তৎসম শব্দ
অর্ধ-তৎসম শব্দ সংস্কৃত থেকে কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। (উল্লেখ্য বর্তমান ৯-১০ শ্রেণীর বইয়ে এর উল্লেখ নেই)
তৎসম বা সংস্কৃত | অর্ধ-তৎসম |
---|---|
জ্যোৎস্না | জোছনা |
শ্রাদ্ধ | ছেরাদ্ধ |
শ্রী | ছিরি |
গৃহিণী | গিন্নি |
ঔষধ | ওষুদ |
বৈষ্ণব | বোষ্টম |
ক্ষুধা | ক্ষিধে |
বৃষ্টি | বিষ্টি |
তদ্ভব শব্দ
তদ্ভব শব্দগুলো ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তনের ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এ শব্দগুলোকে খাটি বাংলা শব্দও বলা হয়। তদ্ভব একটি পারিভাষিক শব্দ। তৎ অর্থ তার এবং ভব অর্থ উৎপন্ন। অর্থ্যাৎ তদ্ভব অর্থ তার (সংস্কৃত) থেকে উৎপন্ন।
সংস্কৃত | প্রাকৃত | তদ্ভব |
---|---|---|
হস্ত | হত্থ | হাত |
চর্মকার | চম্মআর | চামার |
ঘৃত | ঘিঅ | ঘি |
চন্দ্র | চন্দ | চাঁদ |
পাদ | পাঅ | পা |
মাতা | মাআ | মা |
কর্ণ | কন্ন | কান |
মস্তক | মস্থক | মাথা |
দেশি শব্দ
বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ব্যবহৃত শব্দগুলোকে দেশি শব্দ বলা হয়। যেমন: কুড়ি (কোল ভাষা), পেট (তামিল ভাষা), চুলা (মুন্ডারি ভাষা), কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডোবা, ডিঙ্গা, ডাগর, ঢ়েঁকি, টেংরা ইত্যাদি।
বিদেশি শব্দ
বাংলায় আগত বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বহু শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এগুলোকে বিদেশী ভাষা বলে। উল্লেখযোগ্য বিদেশী ভাষা হল – আরবি, ফারসি, পর্তুগিজ, ইংরেজি, ওলন্দাজ ইত্যাদি। (মোটা অক্ষরে লেখাগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ)
ফারসি | খোদা, গুনাহ, দোযখ, নামায, রোযা, পযগম্বর, ফেরেস্তা, বেহেশত, আইন, অছিয়তনামা, দরবার, বাদশাহ, বাহাদুর, জমিদার, , জায়নামাজ, ঈদগাহ, খনকাহ, ফেরেস্তা, কাগজ, আতশবাজী, চশমা, জবানবন্দি, তারিখ, দফতর, দোকান, দস্তখত, আমদানি, রপ্তানি, বারান্দা, হাঙ্গামা, আলু, একতারা, একটা, দোতারা, সেতারা, ওস্তাদ, কামান, কারিগর, কারখানা, খুচরা, গ্রেপ্তার, চাঁদা, চেহারা, জামা, জামদানি, তরমুজ, তোষামদ, দরজা, দালান, পাইকারী, সরকার, সাদা, সবুজ, বরখাস্ত, শাবাশ, রসিদ, রসদ, হাজার, সুদ, সুপারিশ ইত্যাদি। |
আরবি | আল্লাহ, ইসলাম, ইমান, ওজু, কোরবানি, কুরআন, কিয়ামত, গোসল, জান্নাত, জাহান্নাম, তওবা, তসবি, যাকাত, হজ, হাদিস, হারাম, হালাল, আলেম, ইনসান, ঈদ, ওজর, এলেম। আদালত, উকিল, এজলাস, কানুন, খারিজ, রায়, কাজী/কাজি (বিচারক), কেচ্ছা, গায়েব, , মোক্তার, , কলম, কিতাব, দোয়াত, নগদ, বাকি ইত্যাদি। |
পর্তুগিজ | আনারস, আতা, আলপিন, পাউরুটি, চাবি, কফি, কেরানি, গাঁদা, গির্জা, গোলাপ, | , আলকাতরা, আচার, আলমারি, আয়া, বেহালা, বোতাম, বোমা, বালতি, বন্দর, মিস্ত্রি, নিলাম, পেঁপে, পিস্তল, পেরেক, ক্রুশ, পাদ্রি, যিশু, পেয়ারা, কামরাঙা, কপি, তোয়ালে, গুদাম, তামাক, সাবান, , টুপি, ফিরিঙ্গি, ইংরেজ ইত্যাদি।
তুর্কি | বাবা, উজবুক, উর্দু, কঞ্চি, কুর্নিশ, খাঁ, খান, চারু, ঠাকুর, দারোগা, বন্দুক, বাবুর্চি, বেগম, মোঘল, লাশ, সওগত, কাঁচি, কুলি, চাকর, চাকু, মুচলেকা ইত্যাদি। |
ফরাসি | কার্তুজ, কুপন, ডিপো, রেস্তরা, ক্যাফে, বুর্জোয়া, গ্যারেজ, এলিট, ওলন্দাজ, মেনু, বুফে, পিজা, বিস্কুট, আঁশ, আঁতত, ম্যাটিনি, রেনেসাঁ, দিনেমার ইত্যাদি। |
ওলন্দাজ | হরতন, ইস্কাপন, টেককা, তুরুপ, রুইতন। |
গুজরাটি | খদ্দর, হরতাল। |
চীনা | চা, চিনি, লিচু, এলাচি, তুফান, সাম্পান ইত্যাদি। |
জাপানি | রিক্সা, হারিকিরি, প্যাগোডা, জুডো, হাসনাহেনা। |
ইতালিয়ান | সনেট, ফ্যাসিস্ট, মাফিয়া ইত্যাদি। |
হিন্দি | পানি, টহল, বাচ্চা, চানাচুর, মিঠাই, কাহিনি, বার্তা, খানাপিনা, দাদা, নানা ইত্যাদি। |
বার্মি | লুঙ্গি, ফুঙ্গি |
গ্রিক | দাম, কেন্দ্র, সুরঙ্গ |
জার্মান | কিন্ডারগার্ডেন |
মেক্সিকান | চকলেট |
পাঞ্জাবি | চাহিদা |
তামিল | চুরুট |
পেরু | কুইনাইন |
শব্দ মনে রাখার কৌশল-
- রাজ্য/প্রশাসন সম্পর্কিত বিদেশি শব্দগুলো অধিকাংশই ফারসি শব্দ। যেমন: সরকার, বাদশাহ, বাহাদুর, দরবার, তখত। মহকুমা আরবি শব্দ।
- আদালত সম্পর্কিত শব্দগুলো অধিকাংশই আরবি শব্দ। ব্যতিক্রম হচ্ছে আইন, অছিয়তনামা, জবানবন্দি। এগুলো ফারসি শব্দ। উল্লেখ্য আইন ফারসি কিন্তু কানুন আরবি শব্দ।
- কলম, কিতাব, দোয়াত আরবি শব্দ কিন্তু কাগজ ফারসি শব্দ।
- ইদ/ঈদ আরবি শব্দ কিন্ত ইদগাহ/ঈদগাহ ফারসি শব্দ।
- ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত শব্দ: অধিকাংশই ফারসি শব্দ। যেমন- আমদানি, রপ্তানি, পাইকারি, খুচরা, রসিদ, কারখানা, দোকান। তবে নগদ, বাকি আরবি শব্দ, দাম গ্রিক শব্দ, চাহিদা পাঞ্জাবি শব্দ ও নিলাম পর্তুগিজ শব্দ। লাভ, ক্ষতি তৎসম শব্দ।
- অফিস সম্পর্কিত শব্দ: দফতর, দস্তখত, বরখাস্ত ফারসি শব্দ। কেরানি পর্তুগিজ শব্দ।
- পুলিশ সম্পর্কিত শব্দ: গ্রেপ্তার ফারসি শব্দ। পিস্তল পর্তুগিজ শব্দ। দারোগা, মুচলেকা তুর্কি শব্দ। টহল হিন্দি শব্দ।
- খাদ্য সম্পর্কিত শব্দ: আলু, তরমুজ ফারসি শব্দ। আনারস, পাউরুটি, কফি, আচার, পেঁপে, পেয়ারা, কামরাঙ্গা, কপি, তামাক, আতা পুর্তুগিজ শব্দ। মেনু, বুফে, পিজা, বিস্কুট ফরাসি শব্দ। চা, চিনি, লিচু, এলাচি চীনা শব্দ। পানি, চানাচুর, মিঠাই, খানাপিনা হিন্দি শব্দ। চকলেট মেক্সিকান শব্দ। বাবুর্চি তুর্কি শব্দ।
- অন্ত্র সম্পর্কিত শব্দ: কামান ফারসি শব্দ। পিস্তল পর্তুগিজ শব্দ। চাকু, বন্দুক তুর্কি শব্দ। কার্তুজ ফরাসি শব্দ।
- আত্মীয়বাচক শব্দগুলো অধিকাংশই হিন্দি। যেমন- ভাই, বোন, মামা, মামি, দাদা, দাদি, চাচা, চাচি, ফুফা ইত্যাদি। তবে মা তদ্ভব শব্দ, বাবা তুর্কি শব্দ এবং খালা আরবি শব্দ।
- জাতিবাচক শব্দ: ইংরেজ পর্তুগিজ শব্দ। মোঘল তুর্কি শব্দ। ওলন্দাজ ফরাসি শব্দ।
- একতারা, দোতারা, সেতারা ফারসি শব্দ কিন্তু বেহালা পর্তুগিজ শব্দ।
- বায়ু তৎসম শব্দ; বাতাস, আকাশ তদ্ভব শব্দ।
মিশ্র শব্দ
আইনজীবী | ফারসি + আরবি |
রাজাবাদশা | তৎসম + ফারসি |
হাটবাজার | বাংলা + ফারসি |
শাকসবজি | তৎসম + ফারসি |
মিনতি | সংস্কৃত + আরবি |
খ্রিস্টাব্দ | ইংরেজি + তৎসম |
কালিকলম | বাংলা + আরবি |
চৌহদ্দি | ফারসি + আরবি |
তাজমহল | ফারসি + আরবি |
বাংলায় বিভিন্ন শব্দের অনুপাত
- তৎসম শব্দ – ২৫%
- অর্ধ-তৎসম শব্দ – ০৫%
- তদ্ভব শব্দ – ৬০%
- দেশি শব্দ – ০২%
- বিদেশি শব্দ – ০৮%
নতুন শব্দ গঠন
বাংলা ভাষার নতুন শব্দগুলো নানা উপায়ে গঠিত হয়ে থাকে। নিচে শব্দ গঠনের উল্লেখযোগ্য উপায়গুলো দেওয়া হলো:
- শব্দের মূল অংশকে বলা হয় শব্দমূল। শব্দমূল বা প্রকৃতির পূর্বে উপসর্গ বা পরে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়।
- একাধিক পদ একপদে পরিণত হয়ে বা সমাসবদ্ধ হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: আমি, তুমি ও সে = আমরা।
- শব্দের দ্বৈত ব্যবহারে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: ঠকঠক।
- ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ‘কার’ বা ‘ফলা’ যোগ করে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: ম + া (আকার) = মা।
- সন্ধির সাহায্যে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়।
- শব্দের শেষে বিভক্তি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: কল + এর = কলের।
- পদ পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন: মূল (বিশেষ্য) > মৌলিক (বিশেষণ)।
- ধ্বন্যাত্মক শব্দের মাধ্যমে নতুন শব্দ গঠিত হয়। যেমন : কনকন।
উল্লেখ্য শব্দের অংশ উপসর্গ ও প্রত্যয়। অপরদিকে পদের অংশ বিভক্তি, নির্দেশক, বচন ও বলক।
আরও দেখুন-