১৯২৬, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; বিচিত্রা মাসিক পত্রিকায় ‘তিনপুরুষ’ নামে প্রকাশিত হয়। নায়ক ও নায়িকার ব্যাক্তিত্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে উপন্যাসটি রচিত হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত কাহিনী: চট্টোপাধ্যায় পরিবারের বিপ্রদাস উচ্চবিত্ত হলেও এখন তার বিত্ত বৈভব পতনের দিকে ৷ অন্যদিকে ঘোষাল পরিবারের মধুসূদন নব্য ধনী। এই দুই পরিবারে মধ্যে বিবাদ নিয়ে এ সামাজিক উপন্যাসটি রচিত হয়েছে ৷ চট্টোপাধ্যায় পরিবারের এই অসহায়ত্বের সুযোগে ঘোষাল পরিবারের মধুসূদন বিয়ের প্রস্তাব করেন চট্টোপাধ্যায় বাড়ির কন্যা কুমুদিনীকে। একসময় কুমুদিনীর সম্মতিতেই তার বিয়ে হয় মধুসূদন ঘোষালের। কুমুদিনী বিপ্রদাসের বোন এবং মধুসূদনের স্ত্রী। ফলে তাকে উভয় দিক দেখতে হয়। বিয়ের পর একজন নারীকে কিভাবে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে শ্বশুড় বাড়িতে থাকতে হয় তা উঠে এসেছে এ উপন্যাসে। কুমুদিনীর মনে স্বামী তার নিকট দেবতা। কিন্তু মধুসূদনের প্রতিপত্তি ও ক্ষমতার প্রদর্শনে তার বিশ্বাস নড়েচড়ে যায়। এতে বিয়ের পর তার মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত স্বামীর কাছে কুমুদিনির দ্বিধান্বিত সমার্পনের মাধ্যমে কাহিনী শেষ হয়।
ধন্যবাদ