সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দীতে চীন ছিল কৃষিপ্রধান স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। আমদানিতে তাদের প্রবল অনাগ্রহ থাকার দরুন চীনারা শুধু সোনা, রুপা আর আফিম আমদানি করত। শুরুতে তারা আফিম ব্যবহার করত ছোটখাটো রোগের চিকিৎসার ওষুধ হিসেব। এই আফিম আসত মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে।
ব্রিটিশ বণিকদের কাছে চীনের চা, সিল্ক এবং চিনামাটির বাসন অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা ছিল। চীনারা কেবল রৌপ্যের বিনিময়ে তাদের পণ্য বিক্রি করত। এতে ব্রিটেনের প্রচুর রুপা চীনের কাছে চলে যায়। এটা বন্ধ করার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও অন্য ব্রিটিশ বণিকেরা ভারতে উৎপাদিত আফিম অবৈধভাবে চীনে পাচার করত এবং বিনিময়ে রুপা নিত। সেই রুপা দিয়ে চীনের চা, সিল্ক কিনত। একসময় চীনের জনগণ ব্রিটিশদের কাছ থেকেই আফিমকে মাদক হিসেবে ব্যবহার করতে শেখে। ফলে চীনে আফিমের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। আফিমের এই মারাত্মক অবস্থা বুঝতে পেরে চীনের তৎকালীন প্রতাপশালী রাজা চিয়াচিং আফিমের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। রাজা ক্যান্টন বন্দরে লিনসে-সু নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন। ১৮৩৯ সালের ১০ মার্চ লিনসে-সু ক্যান্টন শহরের বিদেশি বাণিজ্য অঞ্চল অবরোধ করেন। তিনি বেআইনিভাবে রক্ষিত বিপুল পরিমাণ আফিম জব্দ করেন। আফিম ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ব্রিটিশরা চীন আক্রমণ করে। চীন যুদ্ধে হেরে যায়।