ভিয়েনা কনভেনশন – ১৯৫৯ এর সারসংক্ষেপ

  • স্বাগতিক রাষ্ট্র (Host Country) যে কোনো সময় এবং যে কোনো কারণে কূটনৈতিক কর্মীদের অবাঞ্চিত বা “একজন অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি (persona non grata)” ঘোষণা করতে পারে। তখন প্রেরক রাষ্ট্রকে (কুটনীতিক ব্যক্তির নিজ রাষ্ট্র) অবশ্যই একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় উক্ত ব্যক্তি (এ কনভেনশনের অধিনস্থ) তার কূটনৈতিক নিরাপত্তা হারাবেন।
  • কূটনৈতিক মিশনের প্রাঙ্গণ, রাষ্ট্রদূতদের বাড়ি ইত্যাদি অলঙ্ঘনীয়। মিশন প্রধানের অনুমতি ছাড়া স্বাগতিক দেশ সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। স্বাগতিক দেশ কখনই মিশন প্রাঙ্গনে তল্লাশি করবে না, মিশনের নথি বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না এবং মিশনকে অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে।
  • কূটনৈতিক মিশনের আর্কাইভ ও নথিগুলো অলঙ্ঘনীয়। স্বাগতিক সরকার সরকার এগুলো বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না।
  • স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই মিশনের কূটনীতিক এবং তাদের নিজ দেশের মধ্যে অবাধ যোগাযোগের অনুমতি দিতে হবে। কোন কূটনৈতিক ব্যাগকে কখনই খোলা যাবে না, এমনকি অপব্যবহারের সন্দেহ হলেও নয়। কূটনৈতিক কুরিয়ারকে কখনই গ্রেপ্তার বা আটক করা যাবে না।
  • কূটনীতিকদের কোনো প্রকার গ্রেপ্তার বা আটকের জন্য দায়বদ্ধ হতে হবে না এবং গ্রহণকারী রাষ্ট্রকে অবশ্যই তাদের মর্যাদা রক্ষার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করতে হবে। কূটনীতিকরা স্বাগতিক রাষ্ট্রের দেওয়ানী এবং ফৌজদারি এখতিয়ার থেকে মুক্ত। তবে কূটনীতিকের অফিসিয়াল ফাংশনের বাইরে পেশাদার ক্রিয়াকলাপ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচিত।
  • কূটনৈতিক মিশনগুলো রাষ্ট্রের কর এবং শুল্ক ব্যাবস্থা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
  • স্বাগতিক দেশে বসবাসকারী কূটনীতিকদের পরিবারের সদস্যরা কূটনীতিকদের মতো একই সুরক্ষা ভোগ করেন।